সিভিল সার্জন অফিসের স্টোর কিপার, হলফকারীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের স্টোর কিপার মো. ফজলুল হক ও তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে করা মামলার হলফকারী (তদবিরকারক) মো. আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই তাঁদের হাইকোর্টে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ও কালীগঞ্জ থানার ওসিকে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন।
দুদকের করা এক আবেদনের ওপর শুনানিকালে আদালত ওই আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
একটি রুলের ওপর শুনানিকালে জামিন বাতিল ও আত্মসমর্পণের আদেশের তথ্য গোপন করার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। সে কারণে ফজলুল হক ও তাঁর পক্ষে তদবিরকারক মো. আবুল হোসেনকে ৪ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত দিনে হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট গতকাল তাঁদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।
সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগসাজশ করে সাত কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৫ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২১ মে সিভিল সার্জন ডা. সালাহ আহমেদ ও স্টোর কিপার ফজলুল হককে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলায় একই বছরের ২৮ মে ফজলুল হককে জামিন দেন সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই জামিন বাতিলের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেছিল দুদক। আদালত সে আবেদন গ্রহণ করে গত বছর ১৮ জুলাই ফজলুল হকের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আসামি আত্মসমর্পণ না করে একই বছরের ২৯ জুলাই দুদকের মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে পরদিন ৩০ জুলাই মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।