50301

ইউরোপ এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপ এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ এখন আর অতীতের কোনো ধারণা নয়। যুদ্ধ এখন বাস্তব আর এটা দুই বছর আগেই শুরু হয়ে গেছে।’

তার মতে, রাশিয়ার কাছে যদি ইউক্রেন হেরে যায় তাহলে যুদ্ধ-পূর্ব অধ্যায়ে প্রবেশ করবে ইউরোপ। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন সতর্কবার্তা দিলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। খবর বিবিসি।

ads

ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘ইউরোপের মঙ্গলের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। ইউক্রেন যদি এ যুদ্ধে জয়ী হতে না পারে, তবে তা পুরো ইউরোপের জন্যই বিপদ ডেকে আনবে। এটি হলে ইউরোপের কোনো দেশই নিরাপদ থাকতে পারবে না।’

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট টাস্ক বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরই মধ্যে মস্কোর কনসার্টে জঙ্গিদের হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন কোনো প্রমাণ ছাড়াই, যা প্রমাণ করছে ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় ক্রমবর্ধমান সহিংস হামলার ন্যায্যতা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন তিনি।’

ads

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে ট্রাম্প বা বাইডেন যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতুন না কেন ইউরোপ সামরিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠলে সহযোগী হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আরো সহজে পাশে পাবে বলে মত দেন টাস্ক।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার সবচেয়ে খারাপ অবস্থার পর থেকে এখন সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘ন্যাটো দেশগুলোয় হামলা করার কোনো আগ্রাসী অভিপ্রায় মস্কোর নেই। আবার রাশিয়া পোল্যান্ড, বাল্টিক রাষ্ট্র ও চেক রিপাবলিকে হামলা করবে এমন ধারণাও পুরোপুরি কাণ্ডজ্ঞানহীন। ইউক্রেন অন্য দেশের বিমানঘাঁটি থেকে পশ্চিমাদের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ব্যবহার করলে সে দেশগুলো রাশিয়ার বৈধ নিশানা হয়ে উঠবে, তা সেগুলো যেখানেই হোক না কেন।’

প্রাক-যুদ্ধ যুগ নিয়ে টাস্কের এ সতর্কবার্তাই প্রথম নয়, এ মাসের শুরুর দিকেও মধ্য-ডান ইউরোপীয় নেতাদের যুদ্ধ নিয়ে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন টাস্ক।

ইউক্রেনের জন্য আশু সামরিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে টাস্ক বলেন, ‘আগামী দুই বছর ইউক্রেনে কী হয়, তার ওপর ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখনই ইউরোপ সবচেয়ে সংকটময় সময় পার করছে।’

ad

পাঠকের মতামত