40068

চলে গেলেন সাবেক ইতালিয়ান স্ট্রাইকার জানলুকা ভিয়াল্লি

স্পোর্টস ডেস্ক: “আমি জানি, আমি বৃদ্ধ হয়ে মারা যাব না। যতটা সময় পারি আমি বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু আগের চেয়ে ভঙ্গুর অনুভব করছি” – কথাগুলো গত মার্চে বলেছিলেন জানলুকা ভিয়াল্লি। যেখানে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছিল প্রবলভাবে। কিন্তু মরণঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে পারলেন না ভিয়াল্লি। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে নিভে গেল ইতালির এই সাবেক স্ট্রাইকারের জীবন প্রদীপ।

২০১৭ সালে ভিয়াল্লির অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এক বছর পর তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে আবার তার শরীরে বাসা বাঁধে ক্যান্সার। এরপর থেকে লড়াই করছিলেন তিনি। নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্রে গত বছর জানিয়েছিলেন পৃথিবীর আলো-বাতাসে বেঁচে থাকার আকুতি। কিন্তু শুক্রবার এলো দুঃসংবাদ। তার সাবেক ক্লাব সাম্পদোরিয়া ভিয়াল্লির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

ads

অসুস্থতার কারণে গত ডিসেম্বরে ইতালি জাতীয় দলের প্রতিনিধি দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন ভিয়াল্লি। তখন বলেছিলেন, রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য এ দিকে পুরোপুরি মনোনিবেশ করা দরকার।

ইতালি দলে কাজ করার সময় ভিয়াল্লি ফের মিলিত হন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও আক্রমণভাগের সতীর্থ রবের্তো মানচিনির সঙ্গে। সাম্পদোরিয়ার হয়ে খেলার সময় এই দুজন ‘গোল যমজ’ নামে পরিচিত ছিলেন।

ads

বর্ণিল ক্লাব ক্যারিয়ারে সাম্পদোরিয়া ও ইউভেন্তুসের হয়ে খেলার পর ১৯৯৬ সালে চেলসিতে ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেন ভিয়াল্লি। এরপর রুদ খুলিত বহিস্কার হলে কোচের দায়িত্বও পালন করেন ক্লাবটিতে।

তার কোচিংয়ে ১৯৯৮ সালে ইংলিশ লিগ কাপ, কাপ উইনার্স কাপ এবং দুই বছর পর এফএ কাপ জিতেছিল চেলসি। এরপর তিনিও ছাঁটাই হন।

কোচ হিসেবে ভিয়াল্লির সবশেষ অধ্যায় ছিল ওয়াটফোর্ডের হয়ে। ২০০১-০২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগে থাকা দলটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

৫৯টি ম্যাচ খেললেও ইতালির হয়ে শিরোপা স্বাদ পাওয়া হয়নি ভিয়াল্লির। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইতালিতে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, সপ্তাহের প্রতিটি ম্যাচে এক মিনিট করে নীরবতা পালন করা হবে।

ad

পাঠকের মতামত