31711

বিশ্বজয়ী হাফেজকে নিয়ে গায়ক আসিফের স্ট্যাটাস

বিনোদন ডেস্কঃ ১৯০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সারাবিশ্বে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম।

মাত্র ১৩ বছরের শিশুর বিশ্বজয়ে গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর।

ads

তাকরীম এই সাফল্যে নিজের ভালো লাগা এবং ভালোবাসার কথা আসিফ শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক পেজে। পোস্ট করেছেন হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমের একটি ছবি।

পোস্টটি ফেভারিটের তালিকায় জমা রেখেছেন এ গায়ক।

ads

আসিফ লিখেছেন, ‘বিশ্বমঞ্চে এই বাংলাদেশি কিশোর হাফেজের অভাবনীয় সফলতায় আমাদের গর্ব করা উচিত। আমি খবরটা শুনে অনেক আনন্দিত হয়েছি। সব সেক্টরে বিশ্ববিজেতা হয়ে উঠুক আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। অনেক শুভকামনা রইল। হাফেজ তাকরীমের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। ভালবাসা অবিরাম…’।

তাকরীমের প্রথম স্থান অর্জন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদে তথ্যও দিয়েছেন আসিফ আকবর।

তিনি লিখেছেন, ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার ৩৮তম আসরে সারাবিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম। হাফেজ তাকরীম রাজধানীর মিরপুরের মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকার শিক্ষার্থী। হাফেজ তাকরীমের পিতা হাফেজ আব্দুর রহমান একজন মাদরাসা শিক্ষক ও মা গৃহিণী। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদরায়।

ছেলের এই বিশ্বজয়ের কৃতিত্বে হাফেজ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জে ছিল। নদীতে বাড়ি-জমি ভেঙে গেলে টাঙ্গাইলের বাড়ি করি। তবে তাকরীম আমার সঙ্গে সাভারে থাকত। সেখানে আমার তত্ত্বাবধানেই সে হাফেজ হয়। কুরআনের আয়াত অন্তরে গেঁথে নেয় খুব সহজেই। মাত্র সাড়ে ৯ বছর বয়সে সে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করে ফেলে। পরে তাকে মিরপুরের মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদ্রাসায় ভর্তি করি। সেখানেও সে সাফল্যের সঙ্গে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমি তাকে একজন দীনদার আলেম হিসেবে তৈরি করতে চাই, যাতে ইসলামের খেদমত করতে পারে সঠিকভাবে। এখন সে কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছে।’

ad

পাঠকের মতামত