30695

মুরাদনগরে নৌকা ১০, স্বতন্ত্র ১১ প্রার্থী জয়ী

মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ছাড়িয়ে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২১টি ইউপির মধ্যে নৌকা জয়ী হয়েছে ১০টিতে। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১১ ইউপিতে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফল ঘোষণা করেন।

ads

নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- ১ নম্বর শ্রীকাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মো: ইকবাল বাহার ৫৩৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: নজরুল ইসলাম চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪২১৭ ভোট।

২ নম্বর আকুবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে শিমুল বিল্লাল ৬৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আফতাব হোসেন আটোরিকশা প্রতীকে ৩০২৫ ভোট। ৩ নম্বর আন্দিকোট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে মো: জাকির হোসেন ৭৮৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: ওমর ফারুক সরকার প্রতীক ৭১৭৪ ভোট।

ads

৪ নম্বর পূর্ব ধইর পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে শুকলাল দেবনাথ ৪০৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী কায়কোবাদ চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৮৯৬ ভোট। ৫ নম্বর পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আবদুল রহিম ৪৪২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরিফুল ইসলাম নৌকা প্রতীক ২৮৮১ ভোট।

৬ নম্বর বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শেখ জাকির ৫০২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: শফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক ৪৩৮৯ ভোট। ৭ নম্বর বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে মো: বাহার খান ২৮৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৭১ ভোট।

৮ নম্বর চাপিতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আবু মুছা আল কবির ৪৮৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মনিরুল আলম চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৪০ ভোট। ৯ নম্বর কামাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল বাসার খান ৩৭৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: তাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬৪২ ভোট।

১০ নম্বর যাত্রাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল কালাম আজাদ ৫৫৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আব্দুল ছালাম ভূঁইয়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৮৪৪ ভোট। ১১ নম্বর রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ৩৩০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ: লতিফ সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭৫০ ভোট।

১২ নম্বর রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো: ইকবাল সরকার ৫৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: নাজমুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩১৩৩ ভোট। ১৪ নম্বর নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী টেলিফোন প্রতীক নিয়ে কাজী আবুল খায়ের ৮২২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল করিম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩২৪ ভোট।

১৫ নম্বর নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জাকির হোসেন ৪৯৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মজিবুর রহমান টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮২০ ভোট। ১৬ নম্বর ধামঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মো: আ: কাদির ৫৭১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৬৪২ ভোট।

১৭ নম্বর জাহাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী টেলিফোন প্রতীক নিয়ে সৈয়দ সওকত আহমেদ ৫৬০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম সফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীক ৩৬৮৪ ভোট। ১৮ নম্বর ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে আবু মুসা সরকার ৬০৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বঅ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অলি উল্লাহ সরকার নৌকা প্রতীক ২৯১০ ভোট।

১৯ নম্বর দারোরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে কামাল উদ্দিন খন্দকার ৫৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৫৯ ভোট। ২০ নম্বর পাহাড়পুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আ: ছামাদ মাঝি ৪২১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭৪০ ভোট।

২১ নম্বর বাবুটিপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আরমান মিয়া ৪৬৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরে প্রার্থী মো: জাকির হোসেন মুন্সী নৌকা প্রতীক ৪২২৭ ভোট।

২২ নম্বর টনকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তৈয়বুর রহমান তুহিন ৩৪০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরে প্রার্থী আনিসুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩৯৫ ভোট।

ad

পাঠকের মতামত