30699

ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্কঃ দেশের প্রথিতযশা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ইমেরিটাস অধ্যাপক হয়েছেন।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট সভায় তাকে এই পদে মনোনীত করা হয় এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

ads

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহই প্রথম এই সম্মানে ভূষিত হলেন। অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ড ও গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে আজীবন একজন অধ্যাপকের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

দেশের চিকিৎসা সেবার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সম্মানজনক পদ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। তিনি মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, মানুষের সেবা করাটাই চিকিৎসকদের মূল কাজ। বিএসএমএমইউ আমার ওপর আস্থা রেখে যে সম্মান দিয়েছে এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি যেন আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি এবং দেশের মানুষকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সবার দোয়া চাই।

ads

তিনি বলেন, আমি এই বিশেষ মুহূর্তে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও সব মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি। জাতির পিতা নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করে না দিয়ে গেলে বিএসএমএমইউ হতো না, আমরাও কাজ করার সুযোগ পেতাম না। আর দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমি ইমেরিটাস অধ্যাপক হতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষায় অধ্যাপনা পেশায় ইমেরিটাস অধ্যাপক একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদবি। অবসরপ্রাপ্ত স্বনামধন্য অধ্যাপকের জীবদ্দশায় শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদান এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদবি দেওয়া হয়ে থাকে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়। সম্প্রতি তার সেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে।

প্রখ্যাত এ চিকিৎসককে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের তিনবারের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ডা. আবদুল্লাহ ১৯৫৪ সালে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৮ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং মেডিসিন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান।

ad

পাঠকের মতামত