করোনা: অসহায় ৫১০ পরিবারের পাশে আমেরিকা প্রবাসী জনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা প্রাদুর্ভাব এর কারনে কর্মহীন হয়ে পরা ও সুবিধা বঞ্চিত ৫১০ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী কুমিল্লা পাঁচথবী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান নাসির উল্লাহ জনি।

প্রবাসী নাসির উল্লাহ জনির বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁন্দপুর দক্ষিন পাড়ায়। তিনি মৃত জাফর উল্লাহর বড় ছেলে। প্রবাসী নাসির উল্লাহ জনি তার নিজ্বস্ব অর্থায়নে ১০টি এলাকার ৫১০টি পরিবারের কাছে নিত্য প্রয়োজনিয় পন্য ও খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দিন পার করা অনাহারি মানুষদের পাশে থেকে তার এ সহযোগিতকে মানবিক কাজ বলে জনিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আমেরিকা প্রবাসী নাসির উল্লাহ জনি তার বন্ধু আনজাম আনসার বাজুর মাধ্যমে কর্মহীন হয়ে পরা মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

নাসির উল্লাহ জনি কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বার এর কর্মী। এমপি বাহার’র রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে অনুপ্রানিত হয়েই সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি।

সহযোগিতার বিষয়ে আনজাম আনসার বাজুর মাধ্যমে নাসির উল্লাহ জনি জানান, করোনা ভাইরাসের জন্য পুরো বিশ্ব বর্তমানে ভয়াবহ এক কঠিন সময় পার করছে। এ ভাইরাস মোকবিলায় উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আতংক তৈরি হয়েছে সবার মাঝে। সরকার সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করেছে যাতে সবাই ঘরে থেকে করোনাকে প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু সমাজের একটা অংশ আছে যারা দিন আনে দিন খায়, ঘর নেই বাড়ি নেই, তারা জানেনা পরের বেলা খাবার জুটবে কিনা। সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে আমাদের আশেপাশে থাকা এই মানুষগুলো। ঘরে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে, বাইরে বেরুলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার এক ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে এই মানুষগুলোর।

তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীটা এবং বাংলাদেশটা যেমন আমার-আপনার, ঠিক তেমনি তাদেরও। আমাদের বেঁচে থাকাটা যতটা জরুরী ঠিক ততটাই জরুরী তাদের বেঁচে থাকা। সমাজের এই মানুষগুলোর অনেক অবদান আছে একটা দেশ গড়তে, দেশের অর্থনীতিতে। কোভিড ১৯ (করোনা ভাইরাস) আজ পৃথিবীকে আতংকে, শোকে নতজানু করে ফেলেছে। যেদিকেই তাকাই, শুধুই মৃত্যু যন্ত্রনা আর অসহায়ত্বের হাহাকার। তবু এই দমবন্ধ হয়ে আসা দুঃস্বপ্নের মাঝেও একটি দুটি সহমর্মিতার গল্প আমাদের আবার আশাবাদী করে। এই কঠিন সময়ে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাড়ানোও ভাগ্যেও বিষয়। তিনি এ পরিস্থিতিতে সবসময় এ মানুষগুলোর পাশে থাকার আশা ব্যাক্ত করেন।