ইনজুুরি সারাতে সৈয়দ রাসেলকে ৪ লক্ষ টাকা দিলেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক: টাইগার ক্রিকেটার মাশরাফি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণ ভোমরা তিনি। শুধু ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হিসেবে নন মানুষ মাশরাফিও সবার প্রিয়। মাশরাফির মন আকাশের মত উদার। কারো দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা, অভাব-অনটনে পাশে দাঁড়াতে যার জুড়ি মেলাভার। এটা মাশরাফি কখনো স্বীকার করেন না। কারণ সত্যিকার অর্থে মানব সেবা ও পরোপকারি যারা-তারা কাজ করেন সবার আড়ালে।

এবারও তাই করলেন বন্ধু সৈয়দ রাসেলের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। সম্প্রতি লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ আর শেখ জামালের খেলা শেষে এ কথা জানান রাসেল নিজেই।

এক সময় জাতীয় দলের অপরিহার্য্য সদস্য ছিলেন সৈয়দ রাসেল। বন্ধু মাশরাফির মত তাকেও ইনজুরির ভয়াল থাবা গ্রাস করেছিল। নিজেকে খানিক দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। ৬ টেস্টে ১২ আর ৫২ ওয়ানডেতে ৬১ উইকেট শিকারি সৈয়দ রাসেল অনেক ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ের ভুমিকা পালন করেছেন।

কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে গিয়ে সে অর্থে বোর্ড ও পৃষ্ঠপোষক কারও সাহায্যই মেলেনি। ক্রিকেট শুধু ধ্যান-জ্ঞানই নয়, রুটি-রুজিও। কি করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না রাসেল। সেই ২০১০ সালের জুলাই থেকে জাতীয় দলের বাইরে। এর মধ্যে ইনজুরি বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণও প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

মাঝে কোমরের কঠিন ইনজুরি সারতে না সারতেই পড়লেন বাম কাঁধের ইনজুরিতে। যে বাম হাতে বোলিং করেন, সেই কাঁধের ইনজুরি। ধরে নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করা লাগবে; কিন্তু চিকিৎসার জন্য দরকার মোটা টাকা। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অপারেশন করালে অন্তত আট লাখ টাকা দরকার। আর ভারতের মুম্বাইতে করলেও চার লাখের কমে হবে না। কোথায় পাবেন এ অর্থ? বিপাকে পড়ে খেলার সাথী ও বন্ধু মাশরাফির কাছে ধার চাইলেন সৈয়দ রাসেল। মাশরাফি জানালেন, দিব তবে ধার নয়। বন্ধুকে ভালবেসে। এ অর্থ শোধ করতে হবে না।

চার লাখ টাকা নিয়ে মুম্বাইতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তত টাকা খরচ হয়নি রাসেলের। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্রপ্রচার লাগবে না। এমনি ঔষধে সেরে যাবে। দেশে ফিরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৈয়দ রাসেল; কিন্তু ইনজুরি পিছনে ছাড়ছে না। প্রথমে ক্যাম্প আর এখন গ্রোয়েন ইনজুরি ভোগাচ্ছে। তবে বোলিংয়ে সমস্যা হচ্ছে না। এদিকে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক দিয়ে বন্ধুর ধার শোধ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন রাসেল। মাশরাফি কিছুতেই আর সে অর্থ ফিরিয়ে নিতে চান না।