‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক: মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, ‘জয় বাংলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ অর্থনৈতিক স্থান দখল করবে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করবে। সকল শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই বিজয় তাদেরকে মনে রাখতে হবে, তাদের সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতীর কল্যানে কাজ করতে হবে।’
১৬ ডিসেম্বর ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীত্ব দিয়েছেন। আমি ও আমার মন্ত্রণালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। অতীতেও আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি। ভবিষ্যতেও আরো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে আমি দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। তখন আমি পায়ে হেঁটে ভারতের কাঠালিয়া এবং বড়মুড়া ক্যাম্পে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। আমরা সেই সময় স্লোগান দিতাম ‘জিন্দাবাদে লাথি মারো, জয় বাংলা কায়েম করো’। তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জয় বাংলা স্লোগানকে অমর্যাদা করা হয়েছিল। এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মহামান্য হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন ‘জয় বাংলা’ আমাদের জাতীয় স্লোগান।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান শাহীন জিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য মাষ্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক দয়াল, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাঠান মোঃ সাইদুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম, আফরোজা কুসুম, উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াসিম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম মজুমদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ সেলিম চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খাঁন রাজু, মনির হোসেন হেলাল, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডার, আবুল বাশার মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ, মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, ইন্সপেক্টর (ইনভেস্টিগেশন) মাহবুবুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, আবদুল মন্নান, কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, মোস্তফা কামাল, মহিন উদ্দিন চৌধুরী, আল আমিন ভূঁইয়া, আবদুল হান্নান হিরণ, রুহুল আমিন, সাইদুর রহমান দুলাল, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এসএম শেখ কামাল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান শফিক, আবুল বাশার, জানে আলম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দীকি প্রমুখ।