4123

হাইকোর্টের নির্দেশনায় নিমসার সবজী বাজারে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

মাইনুল হক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার সবজী ও কাচামালের বাজারে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন। এসময় মহাসড়কের দু’পাশে ছোট বড় ৪০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

ads

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেনে সম্প্রসারিত হওয়ায় নতুন লেনটি সবজি বাজারটিকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেয়। ফলে বাজারে আসা সবজী ও সবজী আনা নেয়ায় নিয়োজিত গাড়ী এলোমেলো ভাবে রাখায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকতো। তাছাড়া সড়ক-জনপদ বিভাগের ভূমিতে দেশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ অনুযায়ী বাজার টিকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় উপজেলা প্রশাসন।বাজারটিকে মহাসড়কের পাশ থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়ার জন্য ইজারাদার ও কমিটিকে চিঠি দিয়ে অবহিত করে উপজেলা প্রশাসন। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা (১২৭৩৮/২০১৯) অনুযায়ী বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইজারাদার কিংবা কমিটির লোকজনের কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গত কিছুদিন আগ থেকে বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয় অবৈধ স্থাপনা ও সকল প্রকার মালামাল সরিয়ে নিতে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান ও জেলা সহকারী কমিশনার তাহমিদা আক্তারের নেতৃত্বে এবং সড়ক-জনপদ বিভাগের সহযোগীতায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বোল্ডড্রেজার দিয়ে একের পর এক ভাঙ্গা হয় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভাঙ্গা শুরু হওয়ার দোকানের মালামাল সরানো আরাম্ভ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। একে একে ড্রেজার চলতে থাকে কাঁচা পাকা দোকানে। কিছু দোকানের মালামাল সরাতে পারলেও অনেক দোকানের আসবাপ পত্র ও মালামালসহ গুড়িয়ে দেয়া হয় ড্রেজার দিয়ে। অভিযানের সময় বুড়িচং থানার ওসি অকুল চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের বিপুল সংখ্যক ফোর্স উপস্থিত ছিল। তিন ঘন্টাব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান শেষে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

ads

উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান চেতনায় একাত্তর নিউজকে বলেন, ১৯৬৫-৬৬ সালে রাস্তার দু’পাশের ভূমি অধিগ্রহন করে সড়ক-জনপদ বিভাগ। অধিগ্রহনকৃত ভূমিতে অবৈধ দোকানপাট বসায় তা উচ্ছেদের জন্য একাধিক বার নোটিশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মহাসড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা এর আগেও উচ্ছেদ করা হয়েছে৷ কিন্তু তারা পুনরায় অবৈধ ভাবে দোকান স্থাপন করেছে৷ আবার ও মহামান্য হাইকোর্ট অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দেয়৷ তাই উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে৷

ad

পাঠকের মতামত