3059

কুমিল্লায় বাবাকে অপহরণ করে মেয়েকে ধর্ষনের পরিকল্পনায় আটক ১ 

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ সুপারের দ্রুত হস্তক্ষেপে ২ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত পিতা আজাদ হোসেন (৪৫) উদ্ধার, ধর্ষণের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা এবং ঘটনাস্থল থেকে ১ অপহরণকারী আটক।

কুমিল্লা নগরীর দৌলতপুর এলাকার আমজাদ হোসেন নামে এক অটো চালককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরন করে। পরে কৌশলে তার মেয়েকে ধর্ষনের পরিকল্পনা করে একদল অপরহরকারী। ঘটনাটি জেলা পুলিশের নজরে আসলে ২ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার পূর্বক অপহরকারী দলের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

ads

কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।

নাটক কিংবা সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আজাদ হোসেন নামক এক ব্যক্তি কে অপহরণ করে তার ১৭ বছরের কন্যা রিয়া আক্তার কে সেখানে নিয়ে ধর্ষণের ফাঁদ ব্যর্থ করে নাটকীয় অভিযানে বাবা-মেয়েকে রক্ষা করলো কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। ভিকটিম উদ্ধার সহ ১ অপহরণকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ads

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ০৬:৩০ ঘটিকায় আজাদ হোসেন (৪৫) পিতা- আব্দুর রশিদ, পেশা- অটোচালক তার নিজ বাড়ি দৌলতপুর, কোতোয়ালি মডেল থানা হতে বোনের বাড়ি সদর দক্ষিণ থানার রাজারখলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চিশতিয়া জুট মিলের সামনে পথিমধ্যে সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হঠাৎ করে তার গতি রোধ করে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ০৬:৪০ ঘটিকায় আজাদ হোসেনের কন্যা রিয়া আক্তার কে মোবাইল ফোন দিয়ে তাকে একা ৫০,০০০ টাকা সহ নেওড়া এলাকায় যেতে বলে এবং অপহৃত পিতার সাথে কথা বলিয়ে দেয়।

রাত ০৮:৫০ ঘটিকার দিকে রিয়া আক্তার বিষয়টি থানায় এসে জানালে পুলিশ সুপার কুমিল্লা , জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয় তার সহকর্মীদের তাৎক্ষণিক ০২ দলে বিভক্ত করে অপারেশন পরিচালনা করার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। রিয়া আক্তার কে সাথে নিয়েই কোতয়ালী থানা পুলিশ অপরাধীদের অবস্থান নিশ্চিত করে নাটকীয় অভিযান পরিচালনা করে নেওরা ইকো পার্কের পাশে একটি ছয়তলা বিল্ডিং এর নিচ তলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় অপহৃত আজাদ মিয়াকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ০৩ জন অপহরণকারী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল হতে অপহরণকারী জামাল মিয়া কে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

উদ্ধারের পর পিতা আজাদ হোসেন জানান যে, মূলত তাকে জিম্মি করে তার মেডিয়া আক্তারকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণকারী এই সৃষ্টি করে এবং এ বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা করছিল।

ad

পাঠকের মতামত