41112

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করবে তাইওয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, স্ব-শাসিত দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর করবে।

মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তাইপেই সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের সাথে বৈঠকের সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, তাইওয়ান ‘স্বৈরাচারী সম্প্রসারণবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সাহসী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য গণতন্ত্রী অংশীদারদের সাথে আরো সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে।

ads

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তাইওয়ান থেকে বেইজিং-এ চীনের কূটনৈতিক স্বীকৃতি স্থানান্তর করে, কিন্তু তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্টের অধীনে আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

বেইজিং গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তবে এটি ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে স্বশাসিত। সে সময় চিয়াং কাই-শেকের জাতীয়তাবাদী বাহিনী মাও সেতুং-এর কমিউনিস্টদের দ্বারা মূল ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। চীন সামরিক দখলসহ যেকোনো উপায়ে দ্বীপটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকার করেছে।

ads

চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের কাছে অসংখ্য বিমান এবং নৌ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এর মধ্যে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় তারা তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া চালায়। চীন তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দেশগুলোকে কূটনৈতিক চাপও দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিদলীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতামূলক অবস্থা তদারকি করে এমন একটি সদ্য তৈরি বিশেষ কমিটির সদস্য রো খান্না প্রেসিডেন্ট সাইকে বলেছেন, প্রতিনিধি দলটি তাইওয়ানে রয়েছে ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের অভিন্ন মূল্যবোধ নিশ্চিত করার জন্য- যা হলো গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকার।’
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা

ad

পাঠকের মতামত