29027

মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু 

নিউজ ডেস্ক: মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। মন্দিরে মন্দিরে এখন উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের বাদ্যি। সোমবার (১১ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদোৎসবের।

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ উৎসবকে ঘিরে এখন সারাদেশে উৎসবের আমেজ। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে।

ads

বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে। পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্যই এই  বন্দনা পূজা। মন্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।  আজ ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীপালন শেষ হলে পর্যাক্রমে ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ অক্টোবর দশমী পালনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সাঙ্গ হবে।

ads

এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কুমিল্লা জেলায় ৭৮৭টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত।

সারাদেশের প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

শারদীয় দুর্গোত্সব উপলক্ষ্যে সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোর পুরোহিত বা ঠাকুর এবং পূজামণ্ডপে আগত পূজারীদের জন্য মাস্ক পরিধান অপরিহার্য করা হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদ্যাপনের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের (সমন্বয় ও সংস্কার) স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত