27084

ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে: মেয়র তাপস

ডেস্ক নিউজ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জনঘনত্বের বিবেচনায় ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।

আজ নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৯ম বোর্ড সভায় তিনি একথা বলেন।

ads

মেয়র বলেন, ৩০ বছর দীর্ঘ-মেয়াদী যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, সেই কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে। ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা প্রাথমিক কার্যক্রমও আরম্ভ করেছে। সেই মহাপরিকল্পনায় ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এলাকার চাহিদা নির্ধারণ করে এবং জনঘনত্বকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।

শিগগিরই কাউন্সিলরদের নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে চুক্তিকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে সকল সরকারি সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি মতবিনিময় সভা হয়েছে। আপনাদেরকে নিয়েও একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন, এলাকার উন্নয়নকে তুলে ধরবেন, চাহিদা তুলে ধরবেন।

ads

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে নাজেহাল হতে হয়নি উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, এর আগের বছরগুলোতে ঢাকা শহর অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়ে যেতো। এ বছর পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে যে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, তখন কয়েক ঘন্টার জন্য জলমগ্নতা হয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যদি আমরা দেখি, তাহলে এই বছরে অন্যান্য বছরের তুলনায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা ও আল্লাহর রহমতে জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্তি দিতে এই তুলনামূলক সফলতা এসেছে। আমি আশাবাদী, আপনাদের কর্মতৎপরতায় আগামী দিনে আরও বেশি সফল হবো।’

মেয়র এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে কাউন্সিলরদের চলমান সার্বিক তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

বোর্ড সভায় কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ছাড়াও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত