58255

রোনালদোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে মেসির আবেগঘন স্বীকারোক্তি

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৮ থেকে ২০২৩, ফুটবলের এক অনন্য দ্বৈরথের নাম লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুজন মিলে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ১৩ বার। মেসি ৮ বার, রোনালদোর ৫ বার। এল ক্ল্যাসিকো কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, গোলের পর গোল, শিরোপার পর শিরোপা- দুই কিংবদন্তির একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা ফুটবলকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য এক উচ্চতায়। অসংখ্য রেকর্ড, ব্যক্তিগত মাইলফলক ও শিরোপা জয়ে উভয়েই গড়েছেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। প্রতিদ্বন্দ্বী সেই রোনালদোকে নিয়েই আবেগঘন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মেসি।

ব্যালন ডি’অরের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিওতে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই লড়াই সবসময়ই ছিল। ক্রীড়ার পরিভাষায় এই দ্বৈরথ খুবই চমৎকার। আমরা পরস্পরকে আরও ভালো পারফর্মার হতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে গেছি, কারণ দুজনেই ছিলাম চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সে সবসময়ই সবকিছু জিততে চাইতো, একইভাবে আমিও। আমাদের এবং ফুটবল সমর্থকদের জন্য সময়টা ছিল দারুণ।’

ads

‘ব্যালন ডি’অরের হিসাব এখন অতীত। সত্যি বলতে কী, আমরা দুজনই দীর্ঘসময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলাম, এটা কোনো সাধারণ ব্যাপার না। শীর্ষে ওঠা সহজ, কিন্তু টিকে থাকা অনেক কঠিন। লড়াইটা শেষ হয়েছে। কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়ে গেছে। এটা শুধু আমাদের নয়, প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীর জন্যই ছিল একটা স্বর্ণযুগ। একটা সময় ছিল, যেখানে আমরা দুজনই ইতিহাস লিখছিলাম- পাশাপাশি, প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে। সেই ইতিহাসই হয়ে উঠেছে স্মরণীয়।’

দুই মহাতারকার দ্বৈরথের প্রাথমিক যাত্রাটা ২০০৮ সালে, যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম ব্যালন ডি’অর জেতেন সিআর সেভেন। ছাড়িয়ে যান বার্সেলোনার লা মাসিয়া থেকে এসে সিনিয়র দলে আলো ছড়াতে থাকা মেসিকে। পরে ২০০৯ সালে রোনালদো রিয়ালে যোগ দেয়ার পর দুজনের প্রতিযোগিতা পুরোদমে শুরু হয়। ২০০৯–২০১৮ পর্যন্ত প্রতি মৌসুমে উভয়ের দেখা হতে থাকে বিশ্বফুটবলের অন্যতম আকর্ষণীয় লড়াই এল ক্ল্যাসিকোতে। ইউরোপীয় ক্লাবে থেকে তাদের দ্বৈরথ চলে ১৫ বছর, উভয়ের দখলে যায় ১৩টি ব্যালন ডি’অর।

ads
ad

পাঠকের মতামত