
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৬টি জেলার মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ বছরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৭০ হাজার ১৫০ জন ছাত্র এবং ৯৯ হাজার ৫৩০ জন ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র পরীক্ষার্থীর চেয়ে ছাত্রী পরাক্ষার্থী ২৯ হাজার ৩৮০ জন বেশী। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৫৯ হাজার ৩৬৬ জন, মানবিক বিভাগে ৫৫ হাজার ৬৫২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৪ হাজার ৬৬২ জন।
বোর্ডের ৬টি জেলার নোয়াখালী, ফেণী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৭৩টি কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করছে। কুমিল্লা জেলায় ১০২টি কেন্দ্রে অংশগ্রহনকারী পারীক্ষার্থী ৬৫ হাজার ৭২৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় ৩৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২৯ হাজার ৮৬৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৪৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২৮ জাজার ১১০ জন, নোয়াখালী জেলায় ৪২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৩৩ হাজার ৫২২ জন, ফেনী জেলায় ২২টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২২১ জন পরীক্ষার্থী এবং লক্ষীপুর জেলায় ২২টি কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৫৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
পরীক্ষার প্রথম দিনে কুমিল্লা জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান। তারা পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লা জেলায় এসএসসি, দাখিল এবং কারিগরি মিলিয়ে মোট ১৬৯টি কেন্দ্রে প্রায় ৭৮ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করছে। পরিক্ষাকে কেন্দ্র করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমরা ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ট্যাগ অফিসার, ভিজিল্যান্স টিম তাজ করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং নকলের বিষয়টি নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। আইনশৃংখলা বাহিনী যথেষ্ঠ তৎপর রয়েছে। তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুল কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বোর্ড চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ২৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুস্থ এবং সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা চলছে। আপনারা কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না। যদি কোথাও কোন সমস্যা দেখেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা তরিৎ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করেছি। আমরা সকলে সচেতন থাকলে আশা করছি সুস্থ এবং নকলমুক্ত সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হাফিজ বলেন, জিলা স্কুল কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার ১৮৭ জন পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করছে। ৬টি ভ্যানুতে পরিক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে। আশা করছি এখানে নকল মুক্ত এবং সুষ্ঠ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হবে।