
নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ২ হাজার শিক্ষার্থী। মোট ৪৬টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিটি ইভেন্টে অংশ নেয় ৬০ জন করে শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম, কুমিলা অঞ্চলের পরিচালক আরিফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চমকপ্রদ কুচকাওয়াজ পরিবেশিত হয়, যা অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। পরে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় ১০০ মিটার দৌড়, ২০০ মিটার দৌড়, ৪০০ মিটার দৌড়, লৌহ গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, দড়ি লাফ, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ এবং লাফ ধাপ ঝাপের মতো মজার ও প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট। প্রতিটি ইভেন্টেই শিক্ষার্থীরা চমৎকার পারফরমেন্স দেখায়, যা পুরো আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, “এই প্রজন্মের যুবকরা জানে কিভাবে দেশের প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। এই শিক্ষার্থীরাও নিজেদের শিক্ষার মধ্যে নয় দেশের প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিবে। শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অপরিহার্য। জেনারেশন জেড (জেন জি) দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছে আর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেনারেশন আলফাসহ পরবর্তীরা ভূমিকা রাখবে। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের শৃঙ্খলা ও প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলে। ”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, “১৫০ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রতিষ্ঠান আমাদের এই নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নবাব ফয়জুন্নেছা উপমহাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা এখনো আমাদের প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছি৷ আমাদের এই ধারা অব্যহত থাকবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।”
পরে, প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এসময় অনুষ্ঠানে অভিভাবক, শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।