কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন-স্মারকলিপি
নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট তারা স্মারকলিপি দাখিল করেন। এ কর্মসূচিতে জেলার সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার জনতা অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আখতার হুসাইন, ওমর ফারুক চৌধুরী, আমান উল্লাহ, ইসমাইল হোসেন মজুমদার, ওমর ফারুক সুমন, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, আমান উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জামাল হোসেন, জামাল উদ্দিনসহ দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি, বিএনপি ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সারা দেশের সংসদীয় আসনগুলো একইরূপে থাকলেও ২০০৮ সালে আঞ্চলিক অখণ্ডতাভিত্তিক প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় না এনে সম্পূর্ণরুপে রাজনৈতিক কারণে হঠাৎ করে ব্যাপক রদবদল আনে তৎকালীন কমিশন। কুমিল্লার এই আসন এলাকাটি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত ১৩টি মামলা হয়।
কিন্তু কোনো আপত্তি বা মামলা আমলে নেয়নি তৎকালীন কমিশন। ২০০৮ সালে কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ উপজেলা) আসন এলাকাটি ৩ ভাগে ভাগ করে ৩টি আসনের সাথে যুক্ত করায় ৩ জন এমপির অধীনে চলে যায়। এতে এলাকার উন্নয়ন বৈষম্যসহ জনগণের ভোগান্তি মারাত্মক আকার ধারণ করে। তারা আসনটি পুনঃবহালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসন সীমানা পুনঃনির্ধারণকালে নীতিমালা লঙঘন করে নীতিগর্হিতভাবে এই আসনটি বিলুপ্ত করেছেন।
এই আসনটিকে ৩টি আসনের সাথে সংযুক্ত করার ফলে একদিকে এলাকাটি অভিভাবকহীন হয়ে উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার হয়েছে, অপরদিকে প্রশাসনিক সুবিধা পেতে জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসনটিকে পুনঃবহাল করে নির্বাচন কমিশনসৃষ্ট উন্নয়ন বৈষম্য থেকে জনগণকে রক্ষা করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।