কুমিল্লায় ৮ দফা দাবিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লায় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবিতে গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শনিবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড়স্হ পূবালী চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদসহ সংখ্যালঘু সংগঠনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস বকসী, কুমিল্লা মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খোকন চন্দ্র, কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল পাল, কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সরকার ও অচিন্ত্য দাস টিটুসহ উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে মামলা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্তসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়। সেই দায়েরকৃত মামলাগুলো অব্যাহতি পেতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সারাদেশে আজ শনিবার গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সারাদেশে ন্যায় কুমিল্লায় গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় বক্তারা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জোরদাবি জানান এবং ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
১। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
২। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন।
৩। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে জমির মালিকানা ও দখল ভুক্তভোগীদের বরাবরে অনতিবিলম্বে প্রত্যর্পণ।
৪। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সব সংস্থায় অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।
৫। দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন।
৬। বৈষম্যবিলোপ আইন প্রণয়ন।
৭। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের যথাযথভাবে কার্যকরীকরণ।
৮। হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় অষ্টমী থেকে দশমী ৩ দিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডেতে ১ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা।