51929

নোয়াখালীতে গ্যাসের সন্ধান

নিউজ ডেস্ক: চলমান তীব্র গ্যাস সংকটের মধ্যে নোয়াখালীতে আরও একটি কূপে গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। কূপটি থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব দেশ রূপান্তরকে বলেন, নোয়াখালির বেগমগঞ্জে একটি কূপে ৪ টি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৩ টি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। ইতোমধ্যে টেস্টিংয়ের অংশ হিসেবে সর্বশেষ স্তর থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এরপর ২০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস তোলা হবে। এভাবে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন কতটুকু গ্যাস তোলা যাবে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ads

কূপটিতে কী পরিমান গ্যাসের মজুদ আছে তা জানতে চাইলে শোয়েব বলেন, ‘বিষয়টি এখনই আমরা বলতে চাচ্ছি না। পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে আশা করছি সেখানকার মজুদ আশপাশের কূপের চেয়ে ভালো। ভবিষ্যতে সেখানে আরও দুটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।’

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, গত ২৯ এপ্রিল সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ—৪ নামের ওই গ্যাসক্ষেত্রের কূপটি খনন করা হয়। কূপটিতে ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খননের পর গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কূপে আগুন জ্বালানো হয়। কূপটি থেকে উত্তোলিত গ্যাস বাখরাবাদের আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করার জন্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ করতে হবে। সেজন্য ৩ মাসের মত সময় লাগতে পারে।

ads

এর আগে গত ২৯ মার্চ জেলার কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের চর কাঁকড়া গ্রামে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স। ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে ইতিমধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ এবং ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত