ফুটবলকে আর উপভোগ না করলেই অবসর: মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক: দেখতে দেখতে বয়স হতে চলেছে ৩৭। এখনও মাঠে আগের মতই ক্ষুরধার। কিন্তু তিনিও তো একজন রক্তে-মাংশে গড়া মানুষ। তাই একদিন থামতে তো হবেই। কবে আসবে সেই দিন। আপাতত এসব নিয়ে ভাবছেন না আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। বললেন, উপভোগের মন্ত্রে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা।
কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে মাঠে নামার আগেই মেসি জানিয়েছিলেন, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। অনেকেই ধারণ করেছিলেন ট্রফি জিতে অবসরের ডাক দেবেন মহাতারকা। তবে শিরোপা জেতার পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে কিছুদিন খেলতে চাইলেন মেসি।
তবে সেই কিছুদিন ঠিক কতদিন সেটা নিশ্চিতভাবে জানাননি এই তারকা। বয়সের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরি প্রবণতা বেড়েছে মেসির। নিজের চোট নিয়ে এতদিন কথা বলেননি মেসি। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। যা প্রকাশ করেছে গোল ডটকম। প্রতিবেদনে মেসিকে বলতে দেখা যায়, যত বয়স হচ্ছে সব তত কঠিন হচ্ছে। বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
মেসি বলেন, ‘বর্তমানে আমার জন্য বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত বয়স হচ্ছে, তত কঠিন হচ্ছে সবকিছু। জানি খুব বেশিদিন নেই হয়তো যখন আমি আর আগের মতো পারফর্ম করতে পারব না। সতীর্থদের সাহায্য করতে পারব না। খেলাটাকে আর আগের মতো উপভোগ করব না। তখন আমাকে থামতে হবে। তবে যতদিন মনে হবে একটু হলেও ভালো আছি, কিছুটা হলেও দিতে পারব, ততদিন চালিয়ে যাব।’
এদিকে পেশিতে চোট পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে মেসি। খেলেননি এমএলএসের কয়েকটি ম্যাচ। খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার হয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচেও। তাকে নিয়ে কোচ জেরার্ডো মার্তিনো জানিয়েছিলেন, তাদের ভাবনায় কনকাকাফ। তাই মেজর লিগ সকারে মেসিকে ঝুঁকি নিতে চাননি তারা। অবশেষে কাঙ্খিত সেই ম্যাচ এসেছে। যেখানে মেসির ফেরার সম্ভাবনা জেগেছে।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে কোচ মার্তিনো বলেছেন, ‘আগামীকাল বলতে পারব মেসি শুরু থেকে খেলবে কিনা। কারণ এখনও আমি জানি না। সে অনুশীলন করেছে আজ, তবে খেলানো যাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে পারব কাল। এখনও ২৪ ঘণ্টা বাকি। তার চোট নিয়ে পর্যালোচনা করব। সময়টা আমাদেরকে সামলাতে হবে।’
মার্তিনো বলেন, ‘মনটেরির বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভাবতে হবে যে আমরা কেবল এপ্রিলের শুরুতে আছি। এ কেবলই শুরু। আমাদের খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিতে ফেলা উচিত নয়। অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের মতো মেসির জন্য কোনটা ভালো হবে তা মূলত আমরা নির্ধারণ করব এবং সেখান থেকে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তই নেব।’