কুমিল্লায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মিলনমেলায় এতিমদের মাঝে ইফতার বিতরণ
ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সমাবেশ ও এতিমদের মাঝে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ) সন্ধায় কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড় গোল্ডেন স্পুন রেস্টুরেন্টে কুমিল্লা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ ও স্বাচিপ কুমিল্লার সভাপতি ডা আব্দুল বাকি আনিস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো আতাউর রহমান জসীম, স্বাচিপ সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদুল আলম, কুমিল্লা প্রাইভট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো: আব্দুল কুদ্দুস আখন্দ, সাধারণ সম্পাদক রইস আব্দুর রব।
উক্ত অনুষ্ঠানে কুমিল্লার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, হেমাটোলজিস্ট সহ কুমিল্লার ডাক্তার, হসপিটাল পরিচালক ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা কাজী আব্দুল আউয়াল, আব্দুল খালেক, বেলায়েত হোসেন স্বপন,আবুল কালাম আজাদ, মোঃনাজিম উদ্দীন সহ সকল উপদেষ্টা মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সভাপতি প্রদিপ চন্দ্র দাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো হানিফ,মোঃআব্দুল আউয়াল টিপু, মোঃ আব্দুল আউয়াল সরকার, মোঃশামীম মজুমদার, জীবন চন্দ্র দাস, মাহবুব আলম , আশিষ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস গুপ্ত, জাহিদুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মাকসুদুন্নাবী সরকার,সাব্বির আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সোহেল, সহ.সাং.কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শাহীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক ওফাসহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইফতারের পর বাদ মাগরিব র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে টেকনোলজিস্টদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
২০১২ সালে বৃহত্তর মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ঐক্যবদ্ধ ও সামাজিক – সাংগঠনিকভাবে একত্র করা উদ্যেশে নিয়ে সংগঠনটি তঠিত হয়। ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ভাই ভাই, ভেদাভেদের সময় নাই’ স্লোগানে সংগঠনটি নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকনোলজিস্টদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন,
একজন রোগীর চিকিৎসার শুরুই হয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে। সুস্থ মানুষের অসুস্থতার কারণ খুঁজে বের করেন। অসুস্থ মানুষের সুস্থ হওয়ার কারণ বের করেন।
যে কোন মহামারী রোগের কারণ খুঁজে বের করার প্রধান কারিগর।একজন ডাক্তারের চিকিৎসার অন্যতম সহযোগী।
রোগীর জন্য এন্টিবায়োটিক এর মাত্রা নির্ধারণকারী।
রোগীর জন্য কার্যকরী এন্টিবায়োটিক খুঁজে বের করেন।নিজে সংক্রমিত হবে জেনেও যে কোন সংক্রামক রোগীর স্যাম্পল কালকেকশন করেন।রোগীর সঠিক রিপোর্ট তৈরী করেন যা দেয়ার পর রোগীর কার্যকরী চিকিৎসা শুরু হয়।ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে সন্দেহজনক পিতৃত্ব নির্ণয় করেন।ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নির্ণয় করেন।ফুড সেফটি ল্যাবে,, খাদ্যের ভেজাল নির্ণয় করেন। ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে ঔষধের গুণগত মান নির্ণয় করেন। যে কোন রোগের গবেষণায় সায়েন্টফিক অফিসার ও ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।নিজে রেডিয়েশন সহ্য করেও,আপনার জরুরি মূহুর্তে আপনার পাশে থাকে।
সর্বোপরি একজন টেকনোলজিস্ট আপনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আপনার রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে আপনার সেবায় নিয়োজিত থাকেন।