49971

‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মনুষ্যত্ব ভুলে যাই’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের ‘অন্তহীন বিষাক্ত আচরণের’ সমালোচনা করে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল বলেন, দুই সন্তান আর্চি ও লিলিবেট গর্ভে থাকার সময় তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বুলিং এবং হেনেস্তার’ শিকার হয়েছিলেন।

বিবিসি জানায়, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে টেক্সাসের অস্টিনে বার্ষিক এসএক্সএসডব্লিউ ফেস্টিভ্যালে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় এভাবেই নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান।

ads

বলেন, নিজের ভালোর জন্যই তিনি এখন ওই ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারি নিজেও দর্শকসারিতে বলে স্ত্রীর কথা শুনেছেন।

ads

লোকজন মিডিয়ার কিছু কিছু জায়গায় এবং ডিজিটাল দুনিয়ায় মানুষ হিসেবে নিজেদের ‘মনুষ্যত্বকে ভুলে’ যায় বলেও মন্তব্য করেন মেগান।

বলেন, ‘আর্চি ও লিলি যখন আমার গর্ভে ছিল সেই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে আমাকে ভয়াবহ বুলিং ও হেনেস্তার তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
আপনার মনে শুধু এটাই আসবে এবং আপনি মাথা ঠুকে ঠুকে ভাবতে থাকবেন কেন মানুষের মন এতটা ঘৃণায় পূর্ণ— এটা শুধু হিংসা নয়, এটা নিষ্ঠুরতা।

ওই অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল বাঁধ ভাঙো, আখ্যান গড়ো: কীভাবে নারীরা স্ক্রিনের সামনে এবং স্ক্রিনের বাইরে নেতৃত্ব দেন।

৪২ বছর বয়সি মেগান বলেন, অনলাইনে নারীরা যেভাবে একে অন্যের প্রতি ঘৃণা ‘ছড়ান’ তা তার কাছে খুবই ‘বিরক্তিকর’। আমি এর কারণ বুঝতেই পারি না। একজন নারী সম্পর্কে ভয়ানক কিছু লেখা যদি আপনার চোখে পড়ে, সেটা কোনো আপনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেন? যদি সেটা আপনার বন্ধু, মা বা মেয়েকে নিয়ে হতো তবে কি আপনি এমনটা করতেন?

ডিজিটাল দুনিয়ায় ও মিডিয়ার কিছু অংশে যা ঘটছে তাতে আমার মনে হচ্ছে আমরা এই মুহূর্তে সেই টুকরোটি হারিয়ে ফেলেছি— আমরা আমাদের মনুষ্যত্বের কথা ভুলে গেছি এবং এটা পরিবর্তন করতে হবে।

রাজ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে দূরে চলে যাওয়ার কারণে মেগানকে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েডগুলোতে তার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল।

ad

পাঠকের মতামত