49967

কুমিল্লায় সূচনা, ময়মনসিংহ সিটিতে টিটু জয়ী

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডা. তাহসিন বাহার সূচনা। এছাড়া ময়মনসিংহ সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। গতকাল সকাল ৮টা-বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহে তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও কুমিল্লা নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন জানান, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৯৪ হাজার ১১৫ ভোট, যা মোট ভোটের ৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। বাস প্রতীকে তাহসিন বাহার সূচনা ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট। সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট ও হাতি প্রতীকে নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৩ ভোট।

ads

যদিও ফল ঘোষণার পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সাক্কু। তিনি জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে হারানো হয়েছে। তবে ভোটাররা বলছেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নিজামউদ্দিন কায়সারের ঘোড়া প্রতীকের কারণেই পরাজিত হয়েছেন সাবেক দুবারের মেয়র সাক্কু।

এদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। নগরীর ১২৮টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।

ads

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দেব। দ্রুত সময়ে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে নগরবাসীকে একটি সুন্দর নগরী উপহার দেব।’

এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে কোথাও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে কয়েকজন নারীকে। এছাড়া বৃদ্ধদের ইভিএম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভোট দিতে গিয়ে বেশি সময় নিয়েছেন। ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা জানান ইকরামুল হক টিটুও। ‘ভোট দিতে গিয়ে আমাকেও একাধিকবার আঙুলের ছাপ দিতে হয়েছে।’

আরেক মেয়র প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নিয়ে ধীরগতি পুরনো সমস্যা। এটি মেনেই ভোট হয়েছে।’

নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরীর ৩২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ এবং ১১টি নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ৬৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হয়নি। সব মিলয়ে নগরীর ৩২টি ওয়ার্ডের ১২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ad

পাঠকের মতামত