49759

কুমিল্লায় দুই সন্তান রেখে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় পরকীয়ার টানে দুই সন্তান রেখে সৌদিআরব প্রবাসীর স্ত্রী কামরুন্নাহার প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ এর দোশারী চোঁ, গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কামরুন্নাহার এর স্বামীর বড় ভাই খন্দকার হুমায়ুন কবির সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪খ্রি:) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ads

বিগত বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি: আনুমানিক সকাল ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে উল্লেখিত বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩খ্রি: পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে জ্ঞাত হওয়ার পর খোঁজ খবর নিয়ে তাদের সন্ধান না পাওয়ার কারণে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি:) লালমাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ads

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর আগে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার মোস্তফা কামালের মেয়ে কামরুন্নাহার (৩১) সঙ্গে পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের দোশারী চোঁ গ্রামের আবুল খায়ের খন্দকারের ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী খন্দকার রেজাউল করিম (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ১ম সন্তান আবু ওবায়দা আরাফাত(৬), এবং দ্বিতীয় সন্তান ওয়াছিফা আক্তার(৩)।

সৌদি আরব প্রবাসী খন্দকার রেজাউল করিম এক বছর আগে সৌদিআরব যাওয়ার পর প্রতিবেশী ছাত্র শিবিরের দূধর্ষ ক্যাডার মো: সাহাবউদ্দিন (২৫) সঙ্গে কামরুন্নাহারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোন ইমো ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারকে উত্যক্ত করতেন বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক শিবিরের ক্যাডার একাধিক মামলার আসামী জ্বালাও পোড়াও সহ বিভিন্ন অপকর্মের অপরাধী সাহাবউদ্দিনকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে, সাহাবউদ্দিন এই ব্যাপারে আর কখনো উত্যক্ত করবেন না বলে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ওয়াদা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় তার দুই সন্তান সহ প্রয়োজনীয় কাপড়, ৪ভরি স্বর্ণঅলংকার নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি।

এ বিষয়ে জানতে সাহাবউদ্দিন বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। পরিবারের লোকজন জানায় সাহাবউদ্দিন কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা লালমাই (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি সাহাবউদ্দিন পরিবার তাদের ছেলে ও ওই নারীকে উদ্ধার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় চেয়েছে, কিন্তু অনেক সময পেরিয়ে যাওযার পরও এস আই শাখাওয়াত বিকটিম উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি, তাই এতে সমাধান না পেয়ে অভিযোগের বাদী খন্দকার হুমায়ন কবির, তার বাতিজা ও বাতিজি উদ্ধারের জন্য গত ২০-০২-২৪ ইং,তারিখে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ১৪৩/২৪, মামলার পর উক্ত মামলার আসামি শাহাবুদ্দিন বিভিন্নভাবে লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, পরর্তীতে একই গ্রামের সর্দার পরিচিত এবং অত্রএলাকার নেতা,সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোঃ শরিফুল ইসলাম আদলতের মামলার কথা জেনেও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিকটিমকে হাজির করে সমাদানের আশ্বাস দিয়ে থাকেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এর একদিন পরেই বিকটিম সর্দার পরিচিত শরিফুল ইসলাম মোটা অংকের টকার বিনিময়ে থানা পুলিশকে এমন কি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারকে না জানিয়ে তার নিজের দায়িত্বে বিকটিমকে বাচ্ছাসহ নিয়ে এসে রাতের বেলা বাদীকে জোরপূর্বক হাজির করে রফা দপার চেষ্টা করা কালে, লালমাই থানা পুলিশ এবং কিছু সাংবাদিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঐই কোথিত নেতা (শরিফ) এর সহায়তায় অপহরকৃত দুই বাচ্ছাকে আটকিয়ে রেখে দিয়ে বিকটিমকে আবারও পালিয়ে যেতে বাদ্য করে, তখন এস আই শাখাওয়াত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নেতা শরিফ এর সাথে গোপনে কখা বলে এখান থেকে চলে আসে পর ক্ষনে সাংবাদিক গন এস আই শাখাওয়াত কে পশ্ন করলে তিনি বলেন নেতা শরিফকে বলেছি আগামীকাল এর মধ্যে বিকটিমকে হাজির করে থানার নিয়ে আসার জন্য, কিন্ত তারও দুইদিন পার হওয়ার তার বিরুদ্ধে এস আই শাখাওয়াত কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি, এ ব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বার সাথে যোগাযোগ করলে তারা মুঠোফোন বলেন, শরিফ এলাকার লোকজনে ক্ষতি করে টাকা কামানো তার কাজ, ঐ দিন সে যেকাজ করেছে সেটা সে সম্পুর্ন আইন অমান্য করেছে, আমি চাই শাহাবুদ্দিন সামাজিকভাবে নিকৃষ্ট একটা কাজ করেছে, তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দরকার, এবং যারা এ অন্যায়ের সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন আমার কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি করবো।

ad

পাঠকের মতামত