অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করছে জাপান-বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক: বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানি ঘাটতি কমানো, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন, শ্রমিকদের অধিকারসহ নানা বিষয়ে জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রথমবারের বড় কোনো অর্থনীতির দেশের সঙ্গে এই চুক্তি হলে দুই দেশই পারস্পরিক বাণিজ্যে লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ গবেষণা গ্রুপের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই এই চুক্তি হবে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বড় কোনো অর্থনীতির দেশের সঙ্গে এমন চুক্তি হতে যাচ্ছে।
‘জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন তপন কান্তি ঘোষ।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, এর ফলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে।
২২ দিনেই রেমিটেন্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার২২ দিনেই রেমিটেন্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার
গত অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বাংলাদেশ জাপানে পণ্য রপ্তানি করেছে এক হাজার ৯০১ মিলিয়ন ডলারের। এর বিপরীতে জাপান থেকে আমদানি করেছে দুই হাজার ২৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা জাপানে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছি এবং আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাব। গত বছর জাপানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৫ শতাংশ, যা যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে বেশি।