43840

আইসিইউর রোগীর ৫২ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আইসিইউতে রাখা রোগীদের শরীরে রিজার্ভ অ্যান্টিবায়োটিক “মেরোপেনাম” কাজ করছে না। অবশ্যই আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা বাস্তবায়ন না করতে পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের শরীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হওয়ার ফলে করোনার চাইতে দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষে মৃত্যু হবে।’

বিএসএমএমইউতে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুওয়ার্ডশিপ’ শীর্ষক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় এ-ব্লক মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সাব-কমিটি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

ads

ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাহিদুল ইসলাম উপস্থাপিত ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল স্টুওয়ার্ডশিপ প্রোগ্রামস ফর ইনফেকশন কন্ট্রোল ইন অ্যা টার্শিয়ারি কেয়ার হসপিটাল’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মাঝে ৫২ শতাংশ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে। হৃদ্‌রোগ, কিডনি, শিশু ও নবজাতক বিভাগের রোগীর মাঝে এই হার ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রবন্ধে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে বছরে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ভোগা রোগীদের মৃত্যুর হার ৭ লাখ। ২০৫০ সাল নাগাদ এই মৃত্যু হার বৃদ্ধি ১ কোটিতে পৌঁছাবে।

ads

অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ শুধু চিকিৎসকদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, পোলট্রিশিল্পে উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রীতে বিশেষ করে মুরগির মাংস অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ৫৫ শতাংশ। মৎস্য, পশু ও পোলট্রিশিল্পে ১৯ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা হচ্ছে।’

জাহিদুল ইসলাম জানান, বিশ্বে রোগীদের স্বাস্থ্য ব্যয় বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০৫০ সাল নাগাদ এই ব্যয় ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্সের মতো বৈশ্বিক সমস্যা বিশ্বনেতাদের সমন্বিত, সুপরিকল্পিত, বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন ডা. জাহিদুল ইসলাম।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ প্রমুখসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত