43333

চৌদ্দ বছর পর ফেডকাপের ফাইনালে মোহামেডান

স্পোর্টস ডেস্ক: এই মোহামেডানের ফুটবলাররা ভুলেই গিয়েছিলেন তাদের দল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল। সাফল্য রয়েছে মোহামেডানের ঘরে। অনেক সাফল্যের স্মারক জ্বল জ্বল করে। কিন্তু বর্তমান ফুটবল দলের কোচিং স্টাফ ছাড়া খেলোয়াড়রা সাফল্য দিতে পারেননি। অবশেষে এই কষ্ট মুছতে যাচ্ছে। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে খেলার টিকিট পেয়েছে মোহামেডান। বড় মাছ শিকার করেছে কোচ আলফাজ আহমেদের মোহামেডান। গতকাল বিকালে শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মোহামেডান ২-১ গোলে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে আবাহনী-শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, আগামী মঙ্গলবার।

মোহামেডান ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল ১৪ বছর পর। শেষ বার ফাইনাল খেলেছিল ২০০৯ সালে। টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর আর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠার সুযোগ পায়নি। টুর্নামেন্টের গত আসরে সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে বিদায় নেয়। তারও আগে ২০২০-২১ মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হেরেছিল। ২০১৮ সালে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়। এবার মোহামেডান ফাইনালে উঠে চমকই দিয়েছে। কারো কাছেই প্রত্যাশিত ছিল না। মোহামেডান ফাইনালে উঠতে পারে এটা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর শোনায়। কারণ, প্রতিপক্ষের নামটা যে বসুন্ধরা কিংস। এখন দেশের ফুটবলের জায়ান্ট দল। সমর্থক নির্ভর না হলেও তারা কাগজে-কলমে শক্তিশালী দল। সবচেয়ে বড় বাজেটের এই দল। শুধু তাই না, অনেক ক্লাবকেই বসুন্ধরার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয়। এই ক্লাবটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতে দুয়ার খুলে দেয়।

ads

বসুন্ধরা কিংস চেয়েছিল মৌসুমের সব ট্রফি ঘরে তুলবে। সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে মোহামেডান। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে বসুন্ধরা কিংস শিরোপা জয়ের পথেই। তারা আবাহনীর চেয়ে ১০ পয়েণ্ট এগিয়ে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কিংসের ঘরেই উঠবে ট্রফি। কীভাবে লিগ জয়ের উৎসব করবে, সেই প্রস্তুতি শুরু করবে, আর এমন সময় হারের খবর বুকে ব্যথা দিয়েছে দলের কর্মকর্তাদের। তারা কেউ ফোন ধরেন নি। তবে মোহামেডানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফেসবুকে।

চার বিদেশি শক্তি নিয়েও কিংসের বেহাল দশা দেখল দর্শক। মোহামেডানের মালির অধিনায়ক সুলায়মান দিয়াবাতের নৈপুণ্য কিংসকে নাস্তানাবুদ করেছে। খেলার তৃতীয় মিনিটেই কিংসের জালে বল জড়িয়ে দেয় মোহামেডান। নাইজেরিয়ান এমানুয়েল সানডের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান, ১-০। গোল শোধ করতে পারবে সেটা নিশ্চিত ছিল। ৩৯ মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করে বসুন্ধরা। ৪৩ মিনিটে বিরতির ৩ মিনিট আগে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটন সমতা আনেন, ১-১। চোখে কি দেখল বসুন্ধরা বুঝা গেল না, দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আবার গোল হজম করে। ৫৫ মিনিটে পালটা আক্রমণে এমানুয়েল এবং সুলায়মান দিয়াবাতের জাদুকরি নৈপুণ্যে এবার সুলায়মান গোল করেন, ২-১। মোহামেডানের গোলকিপার সুজন হোসেন, মেহেদি হাসান, রাজার অলিবার (ব্রাজিল), কামরুল ইসলাম, হাসান মুরাদ, সানোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, এমানুয়েল সানডে, সুলায়মান দিয়বাতেরা শেষ রক্ষা করেই মাঠ ছেড়েছেন। ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ৬ মিনিট। তবুও গোল শোধ করে ম্যাচ বাঁচাতে কিংস পারেনি।

ads
ad

পাঠকের মতামত