40163

অভিবাসন সংকট দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সফর করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে হাজার হাজার অনিবন্ধিত অভিবাসীর আগমন সরাসরি দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার টেক্সাসের এল পাসো শহরে যান।

প্রতি মাসে ৩০ হাজার কিউবান, নিকারাগুয়ান, হাইতিয়ান এবং ভেনিজুয়েলান নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি তারা তাদের নিজ দেশ থেকে আবেদন করে, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ঠিক থাকে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আর্থিক সমর্থনের প্রমাণ থাকে, তাহলে তাদের দুই বছর পর্যন্ত বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

ads

তবে বাইডেন বলেছেন, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে তাদের মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হবে। মহামারী-যুগের অভিবাসন নীতিকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের বাইরে রাখার কারণ হিসাবে উল্লেখ করে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তার প্রতি নমনীয় মনোভাবের অভিযোগ তুলে রিপাবলিকানরা দীর্ঘদিন ধরে বাইডেনের সমালোচনা করে আসছে। এই সফরের আগে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাইডেন তার দুই বছরের শাসনকালের সীমান্ত নিরাপত্তার কাজ মূল্যায়ন করবেন।

ads

এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যারা চারটি দেশে “রাজনৈতিক নিপীড়ন ও দলবদ্ধ সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীদের ঐতিহাসিক সংখ্যার” আগমন নিয়ে কাজ করছেন।

শুধুমাত্র মধ্য আমেরিকার দেশগুলি থেকেই নয়, হাজার হাজার অনিবন্ধিত অভিবাসী অন্যান্য জায়গা থেকেও আসছে।যা সীমান্ত কর্মকর্তাদের হতবিহবল করে তুলেছে। অভিবাসীদের মধ্যে অনেককে প্রশাসনিকভাবে সীমান্তে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তাদের আশ্রয়ের অনুরোধগুলি বিবেচনা করার জন্য পরে আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকিদের সীমান্তে ফেরত পাঠানো হয় ।

সব মিলিয়ে গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার অভিবাসীর আগমন নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রথম বার্ষিক সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এল পাসো মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে একটি, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসী আসে।

ad

পাঠকের মতামত