39885

খন্দকার মাহবুবের দাফন সোমবার

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনকে সোমবার আজিমপুর করবস্থানে দাফন করা হবে।

রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য মো. শায়রুল কবির খান অবজারভারকে এ তথ্য জানান।

ads

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান মরহুম এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের বড় ছেলে আমেরিকায় থাকেন। তিনি সোমবার আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসবেন। বড় ছেলে আসার পর বাদ যোহর নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর করবস্থানে খন্দকার মাহবুব হোসেনকে দাফন করা হবে।’

বিশিষ্ট আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শনিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে জানান চিকিৎসকরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ads

রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরায় নিজ বাসভবনের কাছে খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে মিরপুরে খন্দকার মাহবুব হোসেনের প্রতিষ্ঠিত অন্ধদের কল্যাণে খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতালে দ্বিতীয় (বিএনএসবি) জানাজা হয়।

বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে তৃতীয়, চৌধুরী পাড়া মাটির মসজিদে বেলা ১২টায় চতুর্থ এবং সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বেলা আড়াইটায় পঞ্চম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের ফুসফুসে হঠাৎ পানি আসায় গত ২৮ ডিসেম্বর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চার বার সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত খন্দকার মাহবুব হোসেন।

২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ পান।

ad

পাঠকের মতামত