37640

হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাইডেনের চাপ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে হামলায় ব্যবহার হতে পারে এমন অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আবারও চাপ দিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক টুইটে তিনি লেখেন, সময় হয়েছে দেশে হামলার অস্ত্র নিষিদ্ধ করার। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। চলতি বছর জুলাইয়ে দেশটির নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে এক বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন ও মে মাসে টেক্সাসে আরেক বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি বন্দুক হামলার ঘটনায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবি আরও জোরালো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বিক্ষোভ প্রতিবাদে নামে দেশটির মানুষ।

ads

সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সোচ্চার ছিলেন। বন্দুক ইস্যুতে বেশ কয়েকটি আইনের প্রস্তাব করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহার হতে পারে এমন অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বন্দুক নির্মাতাদের সুরক্ষা আইন অপসারণ করা। এমনকি, বন্দুক সংস্কার আইনেও স্বাক্ষর করেন বাইডেন।

বাইডেন তার আগের অবস্থানের কথা স্পষ্ট জানিয়ে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) হামলায় ব্যবহার হতে পারে এমন অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আবারও চাপ প্রয়োগের কথা জানান। এখনই যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ করা দরকার বলে টুইট করেন তিনি। তার প্রশাসনের নিরাপদ দেশ গড়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হামলার অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের পরই এ টুইটবার্তা দেন বাইডেন।

ads

গত মাসেই এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হামলার অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্য অর্জনে তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সে সময় একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালেই ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ বন্দুক হামলায় মারা যান। এমনকি, বন্দুক আইন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি।

এর আগে, গত ২৩ জুন মার্কিন নাগরিকদের প্রকাশ্যে অস্ত্র বহনের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, মার্কিনিদের জনসমক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। পরে এ রায়ের তীব্র সমালোচনা করে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এ আদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি সাধারণ মানুষকে আরও ঝুঁকির মুখে ফেলবে।’

বিলটিতে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ২১ বছরের কম বয়সীদের কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস যাচাই, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচি এবং স্কুলের নিরাপত্তার জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কেন্দ্রীয় তহবিল বরাদ্দ ও পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাস থাকলে অস্ত্র বিক্রি না করা।

ad

পাঠকের মতামত