36201

কর্মস্থল থেকেই চির বিদায় নিলেন লে. কর্নেল ইসমাইল

নিউজ ডেস্কঃ র‍্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের দ্বিতীয় জানাজা র‍্যাব সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিহত ইসমাইলের পরিবারসহ ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও র‍্যাব সদস্যরা।

ads

এর আগে নিহত র‍্যাব সদস্যদের স্মৃতিতে নির্মিত ‘প্রেরণা ধারা’য় লে. কর্নেল ইসমাইলের কফিন রাখা হয়। সেখানে পুলিশ প্রধানসহ বাহিনীর সদস্যরা পুষ্পঅর্পন করেন। এ সময় তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়। লে. কর্নেল ইসমাইলের নিথর দেহ বিদায় জানানোর সময় সহকর্মীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে যান।

ads

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ইসমাইলের মরদেহবাহী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এসময় র‍্যাব প্রধান নিহতের মরদেহ বুঝে নেন।

একইদিন রাতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার নিজ এলাকা রাজধানীর কালশীর বাইতুর রহমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে। এই শহীদ সেনা কর্মকর্তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন স্বজন ও স্থানীয়রা। এতে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

গত ২৭ জুলাই ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকালে একটি হেলিকপ্টার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে র‍্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গত ৬ আগস্ট র‍্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের মেরুদণ্ডের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কমান্ডার মঈন বলেন, তার এই অকাল মৃত্যুতে র‍্যাব ফোর্সেসে কর্মরত সব সদস্য গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অত্যন্ত দক্ষ পাইলট এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হারালো। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের অকাল মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, র‍্যাব মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত