35225

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে লীগ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বসুন্ধরা কিংস

স্পোর্টস ডেস্কঃ হ্যাটট্রিক লীগ-শিরোপা জিততে আর দরকার মাত্র ৬ পয়েন্ট। তার অর্ধেক পয়েন্টই বৃহস্পতিবার সংগ্রহ করে নিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ফেভারিট দল বসুন্ধরা কিংস। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে। নিজেদের ১৯তম ম্যাচে এটা ‘দ্য কিংস’ খ্যাত বসুন্ধরার পঞ্চদশ জয়। ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে তারা। পরের তিন ম্যাচ থেকে মাত্র তিন পয়েন্ট অর্জন করলেই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উল্লাসে মাততে পারবে তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা বন্দরনগরীর দল ও ‘ব্লু পাইরেটস’ খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনীর সপ্তম হার। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে সাতে। লীগের প্রথম পর্বে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হোম ভেন্যুতে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল কিংস। তবে এ্যাওয়ে ম্যাচে জিততে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে বসুন্ধরার রবসন রবিনহোর বাড়িয়ে দেয়া বল পোস্টের বাইরে থেকে মিগুয়েলের বা পায়ের শট ফিস্ট করে কিংসকে গোলবঞ্চিত করেন গোলরক্ষক সাইফুল। ১৯ মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের ডান পায়ের কৌনিক শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে আবারও পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ইয়াসিন। এবার ব্লক করেন সাখাওয়াত রনি। ২৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চট্টগ্রামে খেলা আফগানিস্তান জাতীয় দলের ফুটবলার অমিত পপালজের ক্রস পোস্টের কাছ থেকে হেড করেন পিটার থ্যাংকগড। কিন্তু বল অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ৩৬ মিনিটের বক্সের বেশ কাছ থেকে অমিত পপালজের স্পট কিক ফিরিয়ে দেন জিকো। বক্সে বল পেয়ে শট নেন আরাফাত। তবে তিনি ভাঙতে পারেননি বসুন্ধরার ডিফেন্স। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে রবসন রবিনহো তীব্র শট নিলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। প্রথমার্ধে কোন দলই আর গোল করতে পারেনি।

ads

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হলে ৫২ মিনিটে অবশেষে গোলের সন্ধান পায় কিংস। প্রায় মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল পাস দেন কিংসের মিগুয়েল। বল পেয়ে দ্রুতগতিতে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কৌনিক শটে দলকে এগিয়ে দেন নূহা মারাং (১-০)। ৫৪ মিনিটে অমিত পপালজের স্পটকিকে ডান প্রান্তে বল পেয়ে মনির আলম যে শট করেন তা ফিস্ট করেন জিকো। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ফিস্ট করেন জিকো। ফিরতি বলে ক্যান্ডি অগাস্টিনের শট বক্সে হেডে সরিয়ে দেন মাসুক মিয়া জনি। ৫৬ মিনিটে বক্সের কাছ থেকে শওকত রাসেলের হেড বসুন্ধরার খালেদ শাফিইর গায়ে লেগে ফেরত আসে। ৬৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মিগুয়েলের উড়ন্ত লং বল বক্সে পেয়ে বা পায়ে শট নেন রবসন রবিনহো।

কিন্তু বল যায়নি জালে। ৮৭ মিনিটে মতিন মিয়া বল নিয়ে দিয়েছিলেন সতীর্থকে। বল বুঝে নিয়ে মাহাদী ডান পায়ের শট নিলে তা চলে যায় জালের বাইরে। ৮৯ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের কর্নার দারুণ দক্ষতায় বিপদমুক্ত করেন জিকো। শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও আর গোল করতে পারেনি আর হারও এড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী।

ads
ad

পাঠকের মতামত