সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ বছর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের নির্ঝর এলাকায় একটি বকুল গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান। এসময় দেশের সব সেনানিবাস, ডিওএইচএস ও জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে একযোগে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এসময় সেনাসদর ও সেনাবাহিনীর ঢাকা অঞ্চলের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সব সেনা অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডাররা নিজ নিজ জনবলসহ উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের শুভ সূচনা নিশ্চিত করেন। এ বছর বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহ, তথা প্রাকৃতিক ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা, জীব-বৈচিত্র সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষরোপণের গুরুত্বারোপ করেছেন। সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২২ এ ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষসহ সৌন্দর্য্যবর্ধক বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা রোপণ করা হবে। সকল সেনানিবাস, নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপসহ সব প্রশিক্ষণ এলাকা, ফায়ারিং রেঞ্জ, সকল ডিওএইচএস এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।

আইএসপিআর জানায়, এ বছর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুকরণে বাংলাদেশের প্রগতির ধারা চলমান রাখতে সকলকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করাই এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে।