32067

তুরস্কে আমিরাত-ইসরায়েলের বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফর করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং আরব আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সোমবার তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিশরের দুটি নিরাপত্তা সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, আল সিসি এবং আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। লোহিত সাগরের শার্ম আল-শেখ শহরে তাদের মধ্যে সাক্ষাত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

ads

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আল সিসি। ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমন সবকিছু প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে জানানো হয়।

আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াম জানিয়েছে, দুই দেশ এবং তাদের জনগণের সুবিধার জন্য সব ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ অগ্রগতির উদ্দেশ্যেই শীর্ষ নেতারা এই সফর করেছেন।

ads

শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ এবং আল সিসি নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন আগ্রহের বিষয় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক বিভিন্ন পর্যালোচনা করেছেন। সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আরব সংহতি জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তারা। নাফতালি বেনেটের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে মিশর এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করেছেন যে, আল সিসির সঙ্গে সাক্ষাত করতেই মিশরে সফর করেছেন এই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

বেশ কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরান এবং পশ্চিমা শক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত এবং বাহরাইন। গত ডিসেম্বরে আবু ধাবিতে সফর করেছেন বেনেট। তার আগে গত সেপ্টেম্বরে মিশরে সফর করেন তিনি।

২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। কিন্তু এই চুক্তির ঘোর বিরোধী ইসরায়েল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ইরানের সঙ্গে পুনরায় এই চুক্তির বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলসহ ইরানের অনেক শত্রু দেশই চায় না যে পুনরায় এই চুক্তি হোক। সে কারণেই হয়তো ইসরায়েল, আমিরাত এবং মিশরের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেন।

ad

পাঠকের মতামত