৭ই মার্চের ভাষণই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল
নিউজ ডেস্কঃ ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’ এর চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে নিরলসভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে তিনি অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন। ১৯৭০ সালে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তানের শোষকশ্রেণী ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ২রা মার্চ বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে তার মাত্র ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণে তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তি সংগ্রামের জন্য একতাবদ্ধ হওয়ার জোড়ালো ডাক দেন।
তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।” পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও দূরদর্শী চেতনার কারণে তিনি ঐ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও, তার বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথাটি ফুটে উঠেছিল। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন, ২৩ বছরের শোষণ-নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামের পথে ধাবিত হতে।
৭ই মার্চ গাজীপুরে কয়েকটি পৃথক মাহ্ফিলে বাদ যোহর গাজীপুর সদর কড্ডা খানকা শরীফ ময়দানে, বাদ মাগরিব মইরান খলিফা চেরাগ আলী শাহ (রহ.) এর ফাতেহা দোয়া মাহফিলে, বাদ এশা সদরে বাসকা সংলগ্ন চতর বাজারে খলিফা আবদুর রশীদ সাহেবের বাসভবন সংলগ্ন ময়দানে ও রাত ১১টায় কাপাসিয়া থানার রাবির ধরপাড়া খলিফা আবসারউদিদন (রহ.) এর ফাতেহা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান,হাফেজ মওলানা মোহাম্মদ খাজা বাহাউদিদন মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।