30543

গোমতি নদীর তীরে কাশ্মিরী আপেল কুল চাষ

ডেস্ক রিপোর্টঃ যখন জীবিকার জন্য মানুষ বিদেশে যেতে চায় তখন পৈত্রিক ব্যবসা নার্সারীর সাথে কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে সফল ২৩ বছরের যুবক শাহাজাহান।কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গোমতী নদীর তীরে ঝাকুনিপাড়া গ্রামে আবু কাশের ছেলে তিনি।

ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিলো বিদেশ গিয়ে মায়ের স্বপ্নগুলো পুরণ করবে।তাই স্কুল জীবন শেষ করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাবার নার্সারি সাথে গড়ে তুলেন কাশ্মিরি আপেল কুলের বাগান। পুরো বাগান জুড়েই বিভিন্ন ফুলের সাথে কাশ্মিরি আপেল কুলের সমাহার।

ads

মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৯ সালে শখের বশে শুরু করেছিলেন কাশ্মীরি কুল চাষ। গোমতীর চরে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন কাশ্মীরি কুলের ৩৫০টি চারা। বর্তমানে তা দাড়িয়েছে ৬০০টিতে। সফলতা পেয়ে এবছর কাশ্মীরি কুলের পাশাপাশি করেছেন বল সুন্দরী চাষ।

আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি আপেল কুল।

ads

মো.শাহজাহান জানান, ৩ বছর আগে ভারত থেকে চারা আনেন। আনা-নেওয়াসহ প্রতিটি চারার খরচ পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা। এখন পর্যন্ত তিন বছরে তার ব্যয় হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। প্রতি বছর গাছে প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। প্রথম ও ২য় বছর মিলে তিনি লাভ করেছেন ৩ লক্ষ টাকা। এ বছরও প্রতিটি গাছ ৩০-৪০ কেজি করে কুল ধরেছে। এভাবে টানা ৫-৭ বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। প্রতি কেজি কুল ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি এখনও বিক্রি শুরু করেননি। দু’একদিনের মাঝে শুরু করবেন। সব মিলিয়ে এ বছর তিনি ১০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন ।

ad

পাঠকের মতামত