27838

ইসির গঠন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ads

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান ইসির সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে নতুন ইসি। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির ‘সার্চ কমিটর’ মাধ্যমে বাছাই করে ইসি গঠন করা হয়। বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে এর গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে আওয়ামী লীগের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

ads

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যখন দেশে গণতান্ত্রিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি সুসংহত। এ অবস্থায় গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ বিএনপি নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অংশ নিয়েছিল।

‘২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এতে বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের কারণে বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখাত হয়ে ইসির পাশাপাশি জনগণের ওপর দায় চাপায়।’

তিনি বলেন, নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে বিএনপি নির্লজ্জভাবে সরকার ও ইসির বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষেদাগার করে আসছে। মূলত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির ওপর শুরু থেকেই বিএনপির কোনো আস্থা নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছিল। এর পর যতবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে ততোবারই তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে মরিয়া বিএনপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তাই দলটির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছেন। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে বিএনপির এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।

ad

পাঠকের মতামত