21258

ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প তুলে ধরার আহ্বান

নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের সাফল্যের গল্প নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ads

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নে ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) যৌথভাবে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সাফল্যের গল্প, যা গত ১২ বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমি প্রত্যাশা করছি এগুলো নিয়ে আপনারা (সাংবাদিকরা) প্রতিবেদন তৈরি করে দেশের ১৭ কোটি মানুষ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।

ads

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় নিজে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের আর্কিটেকচার উল্লেখ করে পলক বলেন, তার নির্দেশনায় এটুআই প্রকল্প ও আমরা সকলে মিলে এই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছি। ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ কিভাবে ধাপে ধাপে প্রান্ত থেকে কেন্দ্র শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায় এজন্য কাজ করেছি।

তিনি জানান, গত ১২ বছর ধরে একটানা কাজ করা গেছে বলেই সফলভাবে এই কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা গেছে। গত ১৩ মাসে করোনাকালীন সময়ে সাড়ে ৪ কোটি ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

পলক বলেন, ‘আজকের এই কর্মশালার শুধু আপনাদেরকে জানানোর জন্যই নয় আপনাদের মাধ্যমে সারাদেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে এই তথ্য-উপাত্তগুলো পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা নিজেরাও সমৃদ্ধ হতে চাই। আগামী দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশে কী করণীয় ও কীভাবে বৈশ্বিক যে পরিবর্তন, এই পরিবর্তনে কিভাবে নেতৃত্বের আসনে বসতে পারি সেভাবেই পুরো কর্মশালাটি ডিজাইন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ব্যতিক্রম ধরনের ডিজিটাল বাংলাদেশের দর্শন বিশ্ববাসীর সামনে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে আগে প্রান্ত পরে কেন্দ্র। গ্রাম থেকে আমাদের ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। আজকে ২০২১ সালে এসে আমরা সারা বিশ্বের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ যে শুধুমাত্র একটি উন্নয়ন মন্ত্র নয়, একটি উন্নয়ন দর্শন, সেটি বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১০ বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালে এসে প্রায় ৭০০১টি ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছে। যেখানে ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা কাজ করছে। এর ফলে একদিকে নারী-পুরুষের বৈষম্য, অপরদিকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর হয়েছে।

সমাপনী বক্তব্যে বাসস ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছিলেন, তখন এটাকে নিয়ে অনেকে হাস্যরস করেছেন। কিন্তু এখন এটি এখন আর স্বপ্ন নয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব।

সমাপনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান। বাসস ইনফোটেনমেন্ট ইনচার্জ মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন সবুজ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাসসের সিটি এডিটর ও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মধুসূদন মন্ডল, এটুআইয়ের কমিউনিকেশন অফিসার মামুনুর রহমান, এটুআইয়ের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মিডিয়া আউটরিচ কনসালটেন্ট আদনান ফয়সল। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (ই-গর্ভনেন্স অধিশাখা) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।

এটুআইয়ের ই-সার্ভিস স্পেশালিস্ট দৌলতুজ্জামান খান ও পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারোয়ার, বাসসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক (বাংলা) রুহুল গনি সরকার জ্যোতি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমেদ রিসোর্সপারসন হিসেবে কর্মশালায় অংশ নেন। বাসসের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৭ জন প্রতিনিধি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন।

ad

পাঠকের মতামত