শিগগিরই ফাইভ-জি বাস্তবে রূপ নেবে: অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল
নিউজ ডেস্ক: আইসিটি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ সুগম করতে সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আইসিটি খাতের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। সবাই মিলে চেষ্টা চালালে এই সেক্টরে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি শিগগিরই বাস্তবে রূপ নেবে, এটা আর স্বপ্ন নয়। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রযুক্তির মহাসড়কে’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বছরে সারা বিশ্বে পোশাক শিল্পের বাজার ৯০০ বিলিয়ন ডলার। অথচ আইসিটি খাতের বার্ষিক চাহিদা ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আমরা এই খাতে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছি। পোশাক শিল্পের মতোই আমরা আইসিটি খাতে সক্ষমতা দেখাবো। আমাদের তরুণরা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তবে তাদের রক্তে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত বহমান। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা অকৃতকার্য হবে না। দেশের যুব সমাজ পরাজিত হবে না।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশের স্বগৌরব উপস্থিতি থাকবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রথম শিল্পবিপ্লব ইংল্যান্ডে শুরু, তখন আমরা ফেইল করেছি। দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবেও আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তৃতীয় শিল্পবিপ্লব চলমান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছি। তবে চতুর্থশিল্প বিপ্লব হবে নলেজ বেইজড, সব কিছুর পরিবর্তন আসবে টেকনোলজির মাধ্যমে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আমরা আর মিস করবো না।
কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এদেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। এর মাধ্যমে সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। একদিকে শিল্পায়ন হবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে আমাদের কত রেভিনিউ অর্জন হচ্ছে আর কতটা কর্মসংস্থান হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ১১ বছর পর মূল্যায়ন করতে গিয়ে দেখছি, এই খাতে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমরা দেশেই উৎপাদনের মাধ্যমে কম্পিউটার ও মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছি। এভাবে সব সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।