কুমিল্লায় এমপি বাহার কন্যার রাজকীয় বিবাহত্তোর সংবর্ধনা- ২০ হাজার অতিথির মেজবান
মাইনুল হক: মহা ধুমধামে রাজকীয় আয়োজনে বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হলো কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের দ্বিতীয় কন্যা আইমান বাহার সোনালীর৷
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লা ক্লাবে বিবাহত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে প্রায় বিশ হাজার মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়।
বেলা ১১টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে মেহমানদের আপ্যায়ন। বিয়েতে খাবারের জন্য কুমিল্লা সদরের ১৫টি স্থানে আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়৷ বিয়ে কেন্দ্র করে সপ্তাহ ধরে চলছিল প্রস্তুতি।
কুমিল্লা আদর্শ (সদর-৬) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা আয়মান বাহার সোনালীর বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হেভী ওয়েট নেতা ও মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য ও সংসদ সদস্যদের উপস্থিতি বিয়ের অনুষ্টান উৎসবে রূপ নেয়।
এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের দ্বিতীয় কন্যা আয়মান বাহার সোনালী ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপির পুত্র আসিবুর রহমান খানের এক বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের একবছর পর বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
কনের বাবা বৃহত্তর কুমিল্লার প্রবীন নেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বরের বাবা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাজাহান খান হওয়ায় এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসেছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কদের, কুমিল্লা ৮ সংসদীয় আসন সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার ও এলজিআরডি মন্ত্রী কুমিল্লা ৯ লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এরোমা দত্ত, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এমরান কবির চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, কৃষক লীগের সভাপতি সমির চন্দ্র চন্দ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস সালাম, জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর পিএএ, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম, কুমিল্লা বার্ডের পরিচালকসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা থেকে সাজসজ্জার সরঞ্জামাদি আনা হয়। কুমিল্লার ইতিহাসে এমন রাজকীয় বিয়ে আর দেখেনি স্থানীয়রা। মূল অনুষ্ঠান হয় কুমিল্লা টাউনহল বীর চন্দ্র নগর মিলনায়তনে ও কুমিল্লা ক্লাবে। সেখানেই বড়-কনেসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মূল ফটক থেকে বর-কনের মঞ্চ, খাবারের প্যান্ডেল পর্যন্ত কারুকাজ ছিল। প্রধান গেট থেকে পুরো এলাকাজুড়ে বর্ণিল, চোখ ধাঁধানো আলোর বিচ্ছুরণ ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজকীয় এ বিয়ের জন্য সপ্তাহ ধরে শুধু মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি এবং সাজসজ্জার কাজ করা হয়।
বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থাপনা করা হয় কুমিল্লা ক্লাব, কুমিল্লা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম, কুমিল্লা স্টেশন ক্লাব, কুমিল্লা প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তন, বাতাবাড়িয়া এলাকার আইরিশ হিল রেস্টুরেন্ট, রাণীর বাজার ফাইন্ড কমিউনিটি সেন্টার, নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার ক্যাপসিকাম পার্টি সেন্টার, মুরাদপুর এলাকার গ্লোবাল কমিউনিটি সেন্টার, ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফান টাউন, টমছমব্রিজ এলাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তন, বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের শালবন হলরুম, পুলিশ লাইনস্ শহীদ আর. আই. আবদুল হালিম মিলনায়তন ও রেইসকোর্স এলাকার কিউ প্যালেস পার্টি সেন্টারে।
দুপুর আড়াইটায় বরযাত্রী নিয়ে কুমিল্লায় আসেন এমপি শাজাহান খান। মেয়ের জামাইসহ বরযাত্রী হয়ে আসা সকলকে নিজ হাতে আপ্যায়ন করেন এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার সহধর্মীনী মেরেুন্নেছা বাহার। পুরো আনুষ্ঠানিকতায় আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে এমপি বাহারের পরিবারকে৷