3925

বিশ্বের কোন দেশেই স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষের দুই শক্তি নেই: শেখ সেলিম এমপি

মাইনুল হক: কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চান্দিনা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে উক্ত সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়৷

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি সহ অন্যান্যরা৷

ads

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল আউয়াল সরকার৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আব্দুল মতিন খসরু এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর ও অন্যান্য সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন৷

ads

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন,  বঙ্গবন্ধু যখনই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল, তখনই তিনি মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করেছিল৷ অন্য কোন চিন্তা তিনি করেন নাই৷ বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন আমার জন্মই হয়েছে কষ্ট করার জন্য৷ পাকিস্তানের ২৩ বছরের ভিতর ১৩ বছর তিনি কারাগারে ছিলেন৷ কারাগারেও তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন৷ কারাগারে বসে কয়েদিরা তখন সুতা তৈরি করত৷ বঙ্গবন্ধুকেও তখন সুতা তৈরি করতে হয়েছিল কারাগারে বসে৷ বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন একটি রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় জিনিস হল, আদর্শ, নেতা, কর্মী এবং সংগঠন৷ যদি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সচ্ছ থাকে, সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে, কর্মীরা যদি সঠিকভাবে কাজ করে এবং আদর্শ থাকে তাহলে যে কোন রাজনৈতিক দল যে কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারবে৷ শত চেষ্টা করেও কেউ ঠেকাতে পারবে না৷ এইগুলোকে নিয়েই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছিল৷ অন্যদিকে তিনি পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল৷ সে সংগঠনই হলো আওয়ামী লীগ৷ আমরা স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী পালন করছি৷ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ২০২০ পালন করব৷ এ দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ যদি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন এবং দেশকে ভালোবাসেন তাহলে দুটোকেই পালন করতে হবে৷ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ৷ বাংলার মাটিতে জিয়াউর রহমান এবং খুনি মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে মেরে স্বাধীনতার স্বপক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি বানিয়েছে৷ এই বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী বলে বা বিপক্ষ বলে কোন শক্তি থাকতে পারবে না৷ আগামীর রজতজয়ন্তী বা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দিনে এই বাংলার মাটিতে ৩৯ বছর পর স্বাধীনতার বিপক্ষের পক্ষে যারা থাকবে তারা এই মাটিতে যাতে থাকতে না পারে সেই ব্যবস্থা আপনাদেরকে করতে হবে৷ বিশ্বের কোন দেশেই স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষের দুই শক্তি নেই, বাংলা‌দেশেও স্বাধীনতার বিপ‌ক্ষের বল‌তে কোন শ‌ক্তি থাক‌তে পার‌বে না। স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেরিয়েছে৷ কিন্তুু জিয়া ও মোস্তাক খুনি রশিদ ও ফারুকসহ অন্যান্যদেরকে পুন:বাসন করে আমাদের দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে৷ জিয়া-মোস্তাকই বঙ্গবন্ধু‌কে হত্যা ক‌রে‌ছে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুনের ঘটনার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। বেঁচে থাকলে অন্যান্য খুনিদের মতো তারও (জিয়া) ফাঁসি হতো। মৃত মানুষের বিচার হয় না। এজন্য জিয়া ও মোস্তাকদের বিচার হয়নি। ১৯৭১-র ৫ মে মেজর আসলাম বেগ চিঠি দিয়ে জিয়াকে তার স্ত্রী ও সন্তানদের চিন্তা না করার ‘জন্য বলেন। ওই চিঠির মানে কি দাঁড়ায়? তিনি স্পাইং করছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর তিনি পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিলেন।

শেখ সেলিম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতার জন্য যারা রক্ত দিয়েছে, সে রক্তকে কোলসিত কারী এই বাংলার মাটিতে কেউ থাকতে পারবে না৷ স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির যদি কেউ এদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে স্বাধীনতার চেতনাকে গ্রহণ না করে তাদেরকে পাকিস্তানি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হব৷ আজকে যারা পাকিস্তানের বৃষ্টি হলে এদেশে ছাতা ধরে থাকে আগামী রজতজয়ন্তীতে তাদের এদেশে থাকার কোন অধিকার থাকবে না৷ আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করছে, দুর্নীতিবাজদের বিচার করছে, সন্ত্রাস এবং অপরাধীদের বিচার কবছে৷ তিনি কাউকেই ছাড় দিচ্ছেন না৷ এখন আমাদের ক্যাপ্টেন হলো শেখ হাসিনা৷ তিনি কাকে কোথায় দিবেন তিনিই ভাল জানেন৷ আপনারা মিলেমিশে কাজ করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা৷

ad

পাঠকের মতামত