
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ: এমপি বাহার
মাইনুল হক: শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এবং সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ও সাড়ম্বরে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি ও সামাজিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। আমাদের দেশের একই বাড়িতে মুসলিমরা নামাজ পড়ে এবং হিন্দুরা পূজা করে। কোন সমস্যা হয় না। দেশের সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা ও অনুদান বিতরণের সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের চেতনা সমুন্নত রেখে জাতীয় উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আপনারা যাতে বৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন সে জন্য দেশব্যাপী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যবস্থা করে থাকেন। আজকের এই অনুদান আমাদের ক্ষুদ্র একটি অংশ গ্রহন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও আদর্শ সদর উপজেলাধীন এলাকার শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে অনুদান বিতরণের আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনে ৮৫টি পূজা মন্ডপের জন্য এ অনুদান বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব। এক ধর্মের জনগোষ্ঠীর প্রতি অন্য ধর্মের জনগোষ্ঠীর শ্রদ্ধাবোধ। এই নিয়মেই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদোৎসব পালন হয়ে আসছে। কুমিল্লায় বরাবরের মত সর্বত্রই ধুমধামের সঙ্গে পালিত হবে এ উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজায় সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার প্রতিটি মণ্ডপেও থাকবে কড়া নজরদারি। পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তা রক্ষীরা নিযুক্ত থাকবে। পূজা শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে আইন শৃংখলা বাহীনী। পুজা মন্ডপ গুলোতে হিন্দু ও মুসলিম মা-বোনেরা যায়। সেখানে যাতে মহিলা বা মেয়েরা কোন প্রকার ইভটিজিং এবং হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন পূজা কমিটিকে। এছাড়া পূজাতে অনেকে মদ খেয়ে মাতলামি করে সেদিকে এবার কঠোর নজরদারি থাকবে। রাত আটটার মধ্যে দুর্গা বিসর্জন দিতে হবে।
এ বছর কুমিল্লা গোমতী নদীতে ঘাঁট করে দেওয়া হবে। সেখানে দূর্গাকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য তিনি আহবান করেছেন। পূজা মন্ডপ থেকে গেমতী নদী ঘাঁট পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী আশরাফুল কবিরের সভাপতিত্বে ও দুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত দাশ টিটুর সঞ্চালনায় অতিখি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মাহমুদ সহিদ, আদর্শ সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. হোসনে আরা বকুল, কালির বাজার ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী, পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল, আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ পাবেল, কুমিল্লা বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক হাবিবুর আল আমিন সাদী, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল আজিজ সিহানুক প্রমূখ।