1746

রাষ্ট্রের শত্রুদের আর বাড়তে দেওয়া যাবে না: মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধীতা করেছে, যারা ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।’ শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিটিআরসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধীতা করেছে, যারা ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। এই অপশক্তি দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে বাংলাদেশকে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক এবং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায়, বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এই শত্রুদের আর বাড়তে দেওয়া যাবে না।’

ads

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পৃথিবীর ইতিহাসে একজন বিরল মানুষ আখ্যায়িত করে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে জীবনে অনুসরণ করার জন্য আদর্শ মানুষ খুঁজি। আদর্শ খুঁজতে হলে, কাউকে অনুসরণ করতে হলে তিনি একজন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে যেমন ভালবাসতেন, এদেশের মানুষও তাকে ভালবেসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণের দরকার, তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধু রচনা করে গেছেন যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।’

আন্তর্জাতিক কানেক্টটিভিটির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি ১৯৭৩ সালে বৈশ্বিক টেলিকম সংস্থা-আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার হার শতকরা ২০ ভাগ থেকে আজ ৭৩ এ উন্নীত হয়েছে। দেশে নারী শিক্ষা শতকরা শূন্য ভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন শতকরা ৫৩ ভাগ নারী শিক্ষার্থী অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। পঁচাত্তরের পর থেকে একটানা দীর্ঘ একুশ বছর বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর জন্য যারা সক্রিয় ছিল তাদের দিন এখনো শেষ হয়নি। তারা ছদ্মবেশে বেশে সুযোগের অপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ads

এ সময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ শব্দের সমার্থক শব্দ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ নামের সমার্থক শব্দ শেখ হাসিনা। এই দুটি নাম এক সাথে মিলে গেছে।’ এই দুইয়ের মিলিত স্রোতধারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের হাতিয়ার হচ্ছে ডিজিটাল প্রযু্ক্তি।’

তিনি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গত দশ বছরে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্যে শীর্ষে। এডিবি’র মতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক এক সেখানে পাকিস্তানের তিন দশমিক ৯। প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকেও অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

তিনি আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং রাষ্ট্র দর্শনের এক অভাবনীয় উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে।’

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত