ফখরুলসহ ৪ নেতাকে হয়রানি না করার নির্দেশ
ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ চার নেতাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আগাম জামিনের শুনানি করে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.রেজাউল করিম।
এর আগে সকালে বিএনপির এ চার নেতা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্য তিন জন হলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গত ৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয় জনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন জানান। যাতে ওই চার নেতাসহ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা তাকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে বাদীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও বোমা মেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্র উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ।
তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন দাবি করে বাদী এবি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।