‘বঙ্গবন্ধু নদী পদক’র জন্য আবেদনের শেষ সময় ৪ আগস্ট
‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’র জন্য আবেদনের শেষ সময় ৪ আগস্ট (রোববার)। উপজেলা, জেলা অথবা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।
নৌ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নদী দখলরোধ, শিল্পকারখানার সৃষ্ট বর্জ্য দূষণরোধ, পরিবেশ দূষণরোধ, নদীর তীরে ও অভ্যন্তরে অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণসহ নদী ভরাটরোধ, নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ রক্ষার কাজে সহায়তাদানের ক্ষেত্রে এ পদক দেওয়া হবে।
এছাড়াও নদীকে নৌচলাচলের উপযোগী করে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নদীকে দূষণ ও অবৈধ দখল ভরাটমুক্ত করে স্বাভাবিক রুপে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন।
নদী রক্ষায় ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক’ জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাকে বিশেষ অবদানের জন্য ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাকে বিশেষ অবদানের জন্য ১৮ ক্যারেটমানের ৩০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
বিভাগীয় পর্যায়ে একটি করে মোট আটটি এবং জাতীয় পর্যায়ে তিনটি পদক দেওয়া হবে বলে জানায় নৌ মন্ত্রণালয়।
পদক প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসারে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে কিংবা সুবিধামত সময়ে ‘বিশ্ব নৌদিবস’ এর দিন পদক দেওয়া হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় পুরস্কারের সংখ্যা ও মূল্যমান বাস্তবতার নিরিখে পরিবর্তন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক নীতিমালা-২০১৯’ অনুমোদন করেছেন।