49835

বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ বরিশাল

স্পোর্টস ডেস্ক: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর দশম বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো ফরচুন বরিশাল। সাকিব আল হাসানদের দল রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে তামিমের বরিশাল। শামীম হোসেনের ব্যাটে ভর করে পাওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য মুশফিকের ফিফটিতে ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে বরিশাল।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে রংপুর। জবাবে ১৮.৩ ওভারেই লক্ষ্য পার করে বরিশাল।

ads

সবমিলিয়ে বরিশাল চতুর্থ ও ফরচুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে উঠলো। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের মতো এদিনও শুরুতে উইকেট হারায় রংপুর। ১৮ রানে তারা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। ওপেনিং জুটিতেও বদল আসে আরেকবার। মাহেদী হাসান নতুন সঙ্গী হন রনি তালুকদারের, যদিও ৫ বলে দুই রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি।

ওই ওভারেই এগিয়ে এসে বলের লাইন মিস করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসান। ৪ বলে তিনি করেন ১ রান। ওপেনার রনি তালুকদার ১২ বলে ৮ রান করে কাইল মেয়ার্সের বলে আউট হন। ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারে জিমি নিশামের সঙ্গী হন নিকোলাস পুরান।

ads

কিন্তু এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও রানের দেখা পাননি পুরান। ১২ বলে ৩ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন পুরান। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা নিশামও এদিন ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

২২ বলে ২৮ রান করে জেমস ফুলারের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন নিশাম। তার বলেই মোহাম্মদ নবীও আউট হন। ১৫ বলে ১২ রান করা অধিনায়ক সোহানকেও বোল্ড করেন ফুলার। ১৭ বলে ১৪ রান করেন তিনি। রংপুরের ইনিংস মূলত শুরু হয় অষ্টম উইকেটে গিয়ে।

আগের দিনে ওপেনিংয়ে নেমে ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছিলেন শামীম। বরিশালের বিপক্ষে তিনিই হয়ে যান রংপুরের ত্রানকর্তা। উইকেটের সামনে, পেছনে সব জায়গায় প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধোনা করেন তিনি। ওভেদ ম্যাককয়ের করা ১৯তম ওভারে তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৬ রান নেন শামীম।

ওই ওভারে মাত্র ২০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শামীম। শেষ ওভার থেকে ১১ রান নিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য লক্ষ্যটাকে দেড়শ ছোঁয়ান শামীম ও আবু হায়দার রনি। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৭২ রান যোগ করেন তারা। ৫ চার ও সমান ছক্কায় ২৪ বলে ৫৯ রান করে শামীম ও ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন রনি।

দেড়শ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গী হন মেহেদী হাসান। ৮ বলে ১০ রান করা তামিমকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। এক বল পর আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদে পড়ে বরিশাল।

কিন্তু পরের ওভারে ১৬ রান হজম করে চাপটা সরিয়ে দেন নিশাম। ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। রংপুরের পরের উইকেট এনে দেন মোহাম্মদ নবী। তার বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ১৮ বলে ২২ রান করা সৌম্য।

ম্যাচের বাকি লড়াইটুকু শেষ হয়ে যায় ১৪তম ওভারে মাহেদী ১৮ রান দিলে। বিধ্বংসী হওয়া মেয়ার্সকেও অবশ্য ফেরানো গিয়েছিল। ১৫ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৮ রান করে ফজল হক ফারুকীর বলে তার ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের আর বাকি ছিল না তেমন কিছুই।

শেষ অবধি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ৩৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন মুশফিক। ১৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।

ad

পাঠকের মতামত