40933

মালিতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী ইউনিট পরিদর্শনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালিতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী ইউনিট পরিদর্শনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি
মালিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট-২ (রোটেশন-৪) পরিদর্শনে আসেন জাতিসংঘ সদরদপ্তরের পিএইটি (পারফরম্যান্স অ্যাসেমেন্ট অ্যান্ড ইভলুয়েশন টিম) প্রতিনিধিদল।

নিউইয়র্ক সদরদপ্তরের পুলিশ ডিভিশনের চিফ অব সিলেকশন ও রিক্রুটমেন্ট আতা ইয়েনিগুনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের টিম মালির গুন্দাম ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।

ads

ব্যানএফপিইউ ২-এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। অ্যাডমিন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকারের নেতৃত্বে একটি চৌকস নারী দল গার্ড অব অনার প্রদান করে ডেলিগেশন টিমকে ক্যাম্পে স্বাগত জানান।

পরে কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের সার্বিক কার্যক্রম, লজিস্টিকস সক্ষমতা, অপারেশনাল দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সংক্রান্তে একটা পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।

ads

প্রতিনিধিদল কন্টিনজেন্টের লজিস্টিকস সরঞ্জামাদি, হাসপাতাল, অস্ত্রাগার, যানবাহন, ব্যারাক, কিচেন, মেস, ডাইনিং ও ডিউটি পোস্টসমূহ পরিদর্শন করেন।

অতিথিদের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে তুরস্কে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ডেলিগেশন টিম বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের একটা বিশেষ প্রকাশনা ‘পিসকিপারস নোট’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রতিনিধিদল মিশনের শতচ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতার মধ্যেও এ রকম একটি ব্যতিক্রমী প্রকাশনা বের করায় অবাক হন। তারা এই প্রকাশনীটি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মডেল হিসেবে পেশ করবেন ও সংরক্ষণ করবেন বলে জানান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রতিকূল পরিবেশেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ও তাদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বেরও প্রশংসা করেন।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশপ্রধান পুলিশ কমিশনার জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি, মিনুস্মা হেড কোয়ার্টার্সের এফপিইউ কোঅর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, নদিয়া ডিম্বা, তিন্বুক্তো রিজিওয়েনর রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, জাতিসংঘ সদরদপ্তরের কর্মকর্তা হারিস আহমেদ ও ক্রস্টিনা মারিয়া।

এ ছাড়া আইভরিকোস্ট মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ক্যাপ্টেট কুলিবালি, ইউএনপোল টিম লিডার ক্লিমেন্সসহ অন্যান্য আইপিও, জাতিসংঘের সিভিল সদস্য ও ব্যানএফপিইউ ২-এর কমান্ডিং স্টাফরা সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। অতিথিবৃন্দ মালির গুন্দাম ক্যাম্পে সাহারা মরুভূমির প্রান্তে একটি করে বৃক্ষরোপণ করেন।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের পায়েট ডেলিগেশন দল বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের পারফরম্যান্স বিশেষ করে লজিস্টিকস অফিসার কামারুম মুনিরা, অপারেশনস অফিসার আমিনুর রহমান, ট্রেনিং ও ডিউটি অফিসার মো. মুকিত হাসান খানসহ ব্যানএফপিইউ ২-এর সার্বিক পারফরম্যান্স মূল্যায়নে অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রোমাঞ্চকর স্মৃতি নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি গুন্দাম ক্যাম্প ত্যাগ করেন।

ad

পাঠকের মতামত