কুয়েতে উৎসবমুখর পরিবেশে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দেশটির সুবহান সেনানিবাসের বিএমসি সদর দফতর প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসসি উদ্যাপন করে ‘বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) টু কুয়েত।
এ সময় কুয়েতে সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দ্বরী ফালেহ আল হাজেরী, পরিচালক জেনারেল মবিলাইজেশন পরিদফতর ও কুয়েত সশস্ত্র বাহিনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল আবেদীন স্বাগত বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কুয়েতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, কুয়েতের মাটিতে বাংলাদেশি সেনা সদস্যদের অবদান এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরাজমান সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
এরপর বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দ্বরী ফালেহ আল হাজেরী। তিনি তার বক্তব্যে ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বাংলাদেশি ডেপুটিগণের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামীদিনেও দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
সবশেষে বক্তব্য দেন কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস-এর তাৎপর্যতা এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে গৌরবময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস এবং বিএমসি টু কুয়েতের বিভিন্ন অপারেশনাল কর্মকান্ডের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও ১৯৯১ সাল থেকে বিএমসির ক্রমধারার ওপর একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।