48239

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলা বলয়ের সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী নন্দননগর সেনপাড়ায় “সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট”র উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। বাংলাদেশ-ভারতের সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠকদের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্তরের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি বলয়’র উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে ‘সংস্কৃতি হাট’র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-ভারতের বাংলা ভাষাভাষীদের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি বলয়’র উদ্যোগে ত্রিপুরায় প্রথম অনুষ্ঠিত হলো “সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট”। সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন সংস্কৃতির বিকাশ, প্রসার নিয়ে এরকম সংস্কৃতি হাট আমি প্রথম দেখলাম। সংস্কৃতি নিয়ে এরকর হাট হতে পারে তা আমার ভাবনায় ছিল না, যা করে দেখিয়েছে ‘বাংলা সংস্কৃতি বলয়’ তিনি বলেন প্রতি রবিবার এই হাট বসবে। এতে করে উপকৃত হবে সংস্কৃতি কর্মী সংগঠক ও সাধারণ মানুষ।

ads

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বাংলা সংস্কৃতি বলায়ের কর্মী সংগঠকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংস্কৃতি হল মানুষের জীবনের অলংকার। সংস্কৃতির ছাড়া বাঁচা যায় না। একটি জাতির পরিচয় তার নিজস্ব সংস্কৃতি, সংস্কৃতি ছাড়া একটি জাতি একটি রাষ্ট্র কখনোই এগিয়ে যেতে পারে না। ক্রীড়া- শিল্প-সংস্কৃতি একটি জাতির প্রধান পরিচয়। বাংলা সংস্কৃতি বলয় যে কাজটি করেছে তার জন্য প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি বলেন আমাদের হারানো সংস্কৃতি গুলো আবারো সকলের মাঝে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিলুপ্ত সংস্কৃতির খোঁজে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষকে এ সকল সংস্কৃতির ধারায় যুক্ত করতে হবে। যুব সমাজকে সংস্কৃতিমুখী করতে হবে।

বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের প্রথম সংস্কৃতি হাটকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে উৎসবমুখর হয়ে উঠে ভারতের ত্রিপুরায়র রাজ্যের রাজধানী নন্দননগর সেনপাড়া। হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয় সেনপাড়া সহ পার্শবর্তী গ্রামের নানা বয়সের মানুষ। সংস্কৃতি হাট উপলক্ষে নানান গ্রামীন ও লোকজ সামগ্রী পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেন পাড়া গায়েঁর নারীরা। ছিল গ্রামীন পিঠাপুলির স্টল। বিকেল ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে সংস্কৃতি হাটের আয়োজন। সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের শিল্পীরা গ্রামীন লোকজ সংস্কৃতির গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রিপুরায় এই সংস্কৃতি হাটের আয়োজন।

ads

সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা বিধান সভার বিধায়ক এবং সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটর পৃষ্ঠপোষক রতন চক্রবর্তী, তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচীব পিকে চক্রবর্তী, তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের এডভাইজারি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শুব্রত চক্রবর্তী, ত্রিপুরার উত্তর জেলা পুলিশ সুপার কিরন কুমার দে, বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের সভাপতি সেবক ভট্ট্রচার্য, মহাসচীব কাজী মাহতাব সুমন।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর ত্রিপুরার ধর্মনগরে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের দ্বিতীয় অধিবেশন। অধিবেশনে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, সংসদ গঠন ও সভ্যপদ নিয়ে আলোচনা হয়। বিকেলে ধর্মনগর বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয় ধামাইল উৎসব। দ্বিতীয় অধিবেশনে ও ধামাইল উৎসবের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা বিধান সভার স্পিকার বিশ^বন্ধু সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদৌৎ দে সরকার। ত্রিপুরায় বাংলা সংস্কৃতি বলয়ে সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট ও ধর্মনগরে দ্বিতীয় অধিবেশনে যোগ দেয় বিশ^ কমিটির সদস্য, কুমিল্লা রংপুর ও সিলেট সংসদ। বাংলা সংস্কৃতি বলয়ে বাংলাদেশের মহাসচিব কাজী মাহতাব সুমনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের পুখপত্র ‘বাসব’ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জেসমির আরা, রংপুর সংসদের প্রতিনিধি মফিজুল ইসলাম মান্টু, সিলেট সংসদের প্রতিনিধি দেবদাস চৌধুরী ও সমির পল্লব, কুমিল্লা সংসদের আহবায় রুবেল কুদ্দুস, বিশ^ কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এস এ এম আল মামুন, কোষাদক্ষ আল আমিনন, সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির, শাহ মুজিবুল হক, সদস্য ফয়সাল আহাম্মেদ অনন্ত, কুমিল্লা সংসদের সদস্য কমল চন্দ্র দাস।

ad

পাঠকের মতামত